[english_date]

হবিগঞ্জে ছাত্রী লাঞ্ছনাকারী গ্রেফতার

হবিগঞ্জে স্কুলছাত্রীকে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় রাহুলকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শুক্রবার দুপুরে শহরতলীর রিচি গ্রাম থেকে স্থানীয়দের সহায়তায় তাকে গ্রেফতার করা হয়। এ ঘটনায় সদর থানায় একটি মামলাও দায়ের করা হয়েছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, হবিগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র রুহুল আমিন রাহুল কিছুদিন আগে হবিগঞ্জ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেনির এক ছাত্রীকে প্রেমের প্রস্তাব দেয়। প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় ওই ছাত্রীর ওপর ক্ষুব্ধ হয়ে রাহুল স্কুলে আসা-যাওয়ার পথে উত্যক্ত করতো। বিষয়টি ওই ছাত্রী তার পরিবারকে জানালে তারা রাহুলকে শাসিয়ে দেয়। এতে আরও ক্ষিপ্ত হয়ে ২৬আগস্ট স্কুল ছুটির পর ওই ছাত্রীকে বিদ্যালয়ের সামনে রাস্তায় চড়-থাপ্পড় মারতে থাকে রাহুল। ঘটনার সময় কে বা কারা চড়-থাপ্পরের ৩১সেকেন্ডের ভিডিও করে। এ ভিডিওটি ৩ সেপ্টেম্বর ফেসবুকে আপলোড করা হয়। এরপরই দেশ-বিদেশে বিষয়টি সমালোচনার ঝড় তোলে।
হবিগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয় অ্যাণ্ড কলেজের অধ্যক্ষ আবুল লেইছ ওই যুবকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়ে বলেন, ‘সে আমার স্কুলের ছাত্র। তাই রবিবার স্কুল খোলার পর শিক্ষকদের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’ তিনিও ওই যুবকের শাস্তি দাবি করেন।
সদর থানার ওসি নাজিম উদ্দিন বলেন, ‘শুক্রবার দুপুরে শহরতলীর রিচি গ্রাম থেকে স্থানীয়দের সহায়তায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ইতিমধ্যে এ ঘটনায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে। লাঞ্ছিত মেয়ের বাবা বাদি হয়ে মামলাটি দায়ের করেছেন। সে অনুযায়ী আইননানুগ ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।’
এদিকে ঘটনার বিচার দাবিতে ফুঁসে উঠেছে নাগরিক সমাজ। ক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠেছে সর্বস্তরের মানুষ। শুক্রবার দুপুরে সচেতন নাগরিক সমাজের ব্যানারে সাইফুর রহমান টাউন হলের সামনে ঘটনার প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিভিন্ন শ্রেণী, পেশার কয়েকশ’ মানুষ অংশ নেন। তার অপর সহযোগিদের গ্রেফতার ও বিচার দাবিতে রবিবার থেকে ফের আন্দোলনের ঘোষণা দেয়া হয় সমাবেশে। হবিগঞ্জ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা শামীম আক্তার চৌধুরী শেলি এ ঘোষণা দেন। তিনি ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।
Share on facebook
Share on twitter
Share on whatsapp
Share on print

মন্তব্য করুন

সর্বশেষ সংবাদ