[english_date]

হতবাক গ্যালারি, দায়িত্বহীন আম্পায়ারীং, মাঠে ঢুকে ফের তর্কে জড়ালেন সাকিব

আম্পায়ারদের সঙ্গে তর্কে জড়ানোটাকে অভ্যাসে পরিণত করে ফেলেছেন টাইগার অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। ফরচুন বরিশালের এই অধিনায়ক নিজেদের প্রথম ম্যাচেই মেজাজ হারিয়ে আম্পায়ারের সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে শিরোনাম হয়েছিলেন। একটি বলে ওয়াইড না দেয়াকে কেন্দ্র করে অপ্রীতিকর ঘটনাটির সাক্ষী হয়েছিল মিরপুর।

এবার আবারও বিপিএলের ম্যাচ চলাকালে অপ্রীতিকর ঘটনা। আবারও ঘুরেফিরে সেই সাকিব। রংপুরের দেয়া ১৫৯ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমেছিলেন বরিশালের দুই ওপেনার এনামুল হক বিজয় ও চতুরঙ্গা ডি সিলভা। দ্বিতীয় ইনিংসের একটি বলও তখনো মাঠে গড়ায়নি। আর সেসময়ই নাটকের মঞ্চায়ন।

বরিশালের ওপেনার চতুরঙ্গা ডি সিলভা স্ট্রাইকে ছিলেন আর রংপুরের বোলার রকিবুল হাসান ছিলেন বোলিং প্রান্তে। কিন্তু স্ট্রাইকে বাঁহাতি চতুরঙ্গাকে দেখে রংপুরের অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান বোলার পাল্টে শেখ মেহেদী হাসানের হাতে বল তুলে দেন।

রংপুরের এ পরিবর্তন দেখে স্ট্রাইক পাল্টে ফেলেন বরিশালের ব্যাটাররাও। চতুরঙ্গার বদলে স্ট্রাইকে আসেন বিজয়। তখন রংপুর আরও একবার বোলার পাল্টে ফেলে। ডানহাতি বিজয়ের বিপক্ষে বাঁহাতি স্পিনার রকিবুলকে বোলিং দিতে চাচ্ছিল রংপুর। মাঝ মাঠে যখন এই নাটক চলছে, তখন মাঠে নেমে আসেন বরিশাল কাপ্তান সাকিব আল হাসান। অনফিল্ড আম্পায়ারদের সঙ্গে তর্কে জড়ান তিনি।

 

নিয়ম অনুযায়ী, সাকিবের মাঠে ঢোকার কথা নয়। কিন্তু তিনি নিয়ম ভেঙে মাঠে ঢুকেছেন, এরপর আম্পায়ারের সঙ্গে তর্কেও জড়িয়েছেন। এরপর আম্পায়ার গাজী সোহেল বুঝিয়ে সাকিবকে মাঠ ছাড়া করেন। সাকিব মাঠ ছাড়লে বাঁহাতি চতুরঙ্গাকে বাঁহাতি রকিবুলকে দিয়েই বোলিং করানো হয়। আর সে ওভারে রকিবুলের বলেই আউট হন চতুরঙ্গা।

এদিকে, এমন ঘটনায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে মিরপুরের গ্যালারিতে। তবে বেশিরভাগই সাকিবের এমন মাঠে নেমে পড়া সমর্থন করেননি। প্রতিক্রিয়ায় এক সমর্থক মন্তব্য করেছেন, ‘সোহানের ভুল কিছু দেখি না, সাকিব এভাবে মাঠে প্রবেশ করতে পারে না। এমন ঘটনাগুলো বিপিএলের নাম বাহিরের দেশে খারাপ করে। কিছু হলেই অধিনায়ক মাঠে ঢুকে যান। ভুল হলে প্রতিবাদ অনেকভাবেই করা যায়, এমন নিয়মের তোয়াক্কা না করে একজন রানিং প্লেয়ার এমনটা করতে পারে?’

Share on facebook
Share on twitter
Share on whatsapp
Share on print

মন্তব্য করুন

সর্বশেষ সংবাদ