[english_date]

স্বামী পরিত্যাক্ত খুরশিদা’র অমানবিক জীবন যাপন

মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, লামা (বান্দরবান) প্রতিনিধি ঃ স্বামীর অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়ে অমানবিক জীবন যাপন করছেন খুরশিদা বেগম (৪০) নামে এক নারী। তার বাড়ি বান্দরবানের লামা উপজেলার রুপসীপাড়া ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের মাষ্টার পাড়া এলাকায়। পারিবারিক সম্মতিতে ২৬ বছর আগে একই এলাকার মৃত মজিবুল হক এর ছেলে মো. ইকবাল এর সাথে তার বিবাহ হয়। বর্তমানে তাদের সংসারে ৩ ছেলে রয়েছে।
অভাব অনটনের সংসার হলেও সুখের কমতি ছিলনা তাদের সংসারে। কিন্তু সেই সুখ বেশী দিন সইলো না খুরশিদা’র কপালে। গত তিন বছর আগে তাকে না জানিয়ে ও বিনানুমতিতে নোটারী পাবলিকের মাধ্যমে নানান তথ্য গোপন করে দ্বিতীয় বিবাহ করে তার স্বামী। ইকবালের ২য় স্ত্রী জামিলা আক্তার পূর্বে আরেকজনের স্ত্রী ও ৪ সন্তানের জননী। জামিলা তার প্রথম স্বামীকে কোন প্রকার তালাক না দিয়ে ২য় স্বামীর সংসার করছে বলে জানায় খুরশিদা। স্বামীর অধিকার বঞ্চিত খুরশিদা বলেন, এক নারীর দুই স্বামী রাখার আইনে কোন বিধান আছে কিনা আমি জানিনা। এই বিষয়ে মো. ইকবাল কে তার ২য় স্ত্রী জামিলার ১ম স্বামীকে তালাকের কাগজ দেখাতে বললে সে দেখাতে পারেনি। ইকবাল বলেন, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান জানেন।
অসহায় খুরশিদা বেগম বলেন, আমার স্বামী ২য় বিবাহ করার পরে আমার কোন প্রকার খোঁজ খবর নেয়না। ছেলে গুলোকে নিয়ে আমি খুব কষ্টে আছি। খেয়ে না খেয়ে কোনরকম বেঁচে আছি। নিরুপায় হয়ে আদালতে মামলা করি। মামলা করায় পর ৬ মাস কিছু টাকা দিলেও বর্তমানে আমাকে কোন টাকা পয়সা দেয়না। এদিকে অর্থকষ্টে আমার ছোট ছেলে ইরফাত (১৩) এর লেখাপড়া বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে। আমার স্বামী দীর্ঘদিন আমার সাথে থাকেনা। অপরদিকে মামলা থেকে রেহায় পেতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সহায়তায় আমার স্বাক্ষর জাল করে ভুয়া আপোষনামা লামা সিনিয়র জুডিশিয়াল আদালতে জমা দিয়েছে। আমি গরীব, তাই আমার কথা কেউ শুনেনা।
এবিষয়ে অভিযুক্ত স্বামী মো. ইকবাল বলেন, সে (খুরশিদা) আমার নামে আদালতে মামলা করেছে। মামলায় রায় যা হবে তা মেনে নেব। তাকে কোন টাকা পয়সা আমি দিতে পারব না। সে যা পারে করুক।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ছাচিং প্রু মার্মা বলেন, খুরশিদা বেগম মহিলাটি অসহায়। যেহেতু বিষয়টি আদালতে মামলাধীন তাই সমাধানও বিজ্ঞ আদালতে মাধ্যমে হবে।

Share on facebook
Share on twitter
Share on whatsapp
Share on print

মন্তব্য করুন

সর্বশেষ সংবাদ