
ধাতুর মধ্যে স্বর্ণ বহুল প্রচলিত এবং জনপ্রিয়। পৃথিবীতে আরো অনেক ধাতু আছে। তবু স্বর্ণই যেন সবচাইতে জনপ্রিয়? স্বর্ণ নিয়ে তথ্য খুজতে গেলে দেখা যায় স্বর্ণ আসলে অন্য ধাতুর সাথে বিক্রিয়া করে না এবং অন্য সব ধাতু যেখানে রুপালী বা ধূসর রঙ এর স্বর্ণ সেখানে হলুদ উজ্জ্বল রঙ এর। স্বর্ণের এই দুই বৈশিষ্ট্যই স্বর্ণকে সবার থেকে আলাদা করেছে। গবেষণায় বেরিয়ে এসেছে আরো অদ্ভুত বিস্ময়কর কিছু তথ্য। দেখে নেয়া যাক সেগুলো কি-
- লেগো (LEGO) কোম্পানিটি তাদের কর্মচারীদের ২৫ গ্রাম ওজনের স্বর্ণের টুকরো উপহার দেয় যদি তাঁরা ২৫ বছর টানা চাকরী করে।
- আমাদের শরীরে ০.২ মিলিগ্রাম স্বর্ণ রয়েছে! এর বেশীরভাগই মিশে থাকে আমাদের রক্তে।
- ভারতীয় গৃহিণীরা পৃথিবীর মোট স্বর্ণের ১১% ব্যবহার করে, যা কিনা আমেরিকা, সুইজারল্যান্ড এবং জার্মানির মানুষের মোট ব্যবহার করা স্বর্ণের তুলনায় বেশি।
- অ্যালুমিনিয়াম এতই ভাল মানের ধাতু যে ধনীরা তাঁদের ঘরের সমস্ত কিছু অ্যালুমিনিয়াম দিয়ে তৈরী করতে পছন্দ করবে যেখানে গরীবরা বেছে নেবে স্বর্ণ।
- বিশ্বের সবচেয়ে বড় গোল্ড বারটির ওজন ২৫০ কেজি।
- মানসা মূসা, মালি সাম্রাজ্যের রাজা মিশরের ইজিপ্টে অপ্র
য়োজনীয় ধাতু মনে করে এত স্বর্ণ নষ্ট করেন যে এটি পরবর্তীতে দেশটির অর্থনীতিকে ধ্বংসের মূখে ঠেলে দেয়।
- ইউক্যালিপ্টাস গাছের পাতায় স্বর্ণের পাতলা স্তর আছে!
- ১৮৫৯ সালের একরাতে ১টার সময় স্বর্ণ উত্তোলনকারী শ্রমিকরা ঘুম থেকে ঊঠে সকালের খাবার খেতে শুরু করেন কারণ স্বর্ণের আভা এত উজ্জ্বল ছিল যে তাঁদের মনে হয়েছিল ভোর হয়ে গেছে।
- দুবাই এর এটিএম বুথে শুধু টাকা নয় স্বর্ণের বার ও উত্তোলন করা যায়!
- সমূদ্র থেকে সমস্ত স্বর্ণ বের করে নিলে পৃথিবীর প্রতিটি মানুষের মধ্যে ৯ পাউন্ড করে বিতরণ করা সম্ভব!
- আইসক্রীম কোম্পানিগুলো আইসক্রীম টেস্টার হিসেবে স্বর্ণের চামচ ব্যবহার করে যাতে আইসক্রীমের সাথে চামচের ধাতুর টেস্ট মিশে না যায়।
- নাবিকরা এক সময় কানে স্বর্ণের বালি(দুল) পরত যাতে তাঁরা মারা গেলে সেই স্বর্ণ বিক্রী করে তাদের কবর দেওয়া যায়। ১৪। অলিম্পিক গোল্ড মেডেলে মাত্র ১% স্বর্ণ আছে। ১৫। প্রতিদিন যত স্বর্ণ উত্তোলন করা হয় তার অর্ধেকের বেশী আসে সাউথ আফ্রিকা থেকে.
- পৃথিবীর বেশীরভাগ স্বর্ণ আছে কেন্দ্রের দিকে কারণ সৃষ্টির সময় অধিকাংশ স্বর্ণ পৃথিবীর কেন্দ্রে গিয়ে জমা হয়েছিল।
- মধ্যযুগে স্বর্ণ ব্যাবহার করা হতো এই ভেবে যে – এইরকম উজ্জ্বল পদার্থ নিশ্চয় শরীরের জন্য উপকারী হবে।
- স্বর্ণ দিয়ে সূতা বানানো যায় যা এম্বোডায়েরি কাজে ব্যবহার করা যায়।
- তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের জন্য গাড়িতে স্বর্ণের ব্যবহার করা যায়। ম্যক্লরেন তাদের এফ ১ মডেলের ইঞ্জিন বগিতে স্বর্ণের পাত ব্যবহার করে।
- কিছু উচ্ছ ধারণ ক্ষমতা বিশিষ্ট সিডিতে স্বর্ণের প্রতিফলক স্তর ব্যাবহার করা হয়।
- স্বর্ণকে এমনভাবে তৈরি করা যায় যা আলোকভেদ্দ্য
- ধর্মীয়ভাবে স্বর্ণ পবিত্রতা ও মন্দ দুইয়ের প্রতীক
- স্বর্ণ শব্দটি মহৎ বা ভালো হিসেবে বহুল প্রচলিত। যেমন- সোনালি মুহূর্ত, সোনালি হৃদয়, স্বর্ণময় জীবন, সোনার ছেলে ইত্যাদি।
পোস্টটি যতজন পড়েছেন : ১৩২