বাঙালি নারীকে শাড়িতেই বেশি মানাই। পোশাকের তালিকায় শাড়ির আকার বড় হওয়ায় তা সুন্দর করে পরতে বেশ বেগ পেতে হয়। শাড়ি পরার অভ্যাস না থাকায় অনেকে এড়িয়ে চলেন। তবে যেকোনো নারী একটি সাদামাটা শাড়িতেও নিজেকে আকর্ষণীয় করে তুলতে পারেন। নানা ঢঙের ব্লাউজ পরে নিজেকে উপস্থাপন করতে পারেন স্টাইলিশ রূপে। আসুন জেনে নেয়া যাক তেমন কিছু ব্লাউজ সম্পর্কে..
সিঙ্গেল
শোল্ডার ব্লাউজটি কাঁধ বড়দের জন্য বেশ উপযোগী। এতে একটিমাত্র শোল্ডার বা ফিতা থাকে। কাঁধের নিচ থেকে ব্লাউজের শেষ পর্যন্ত প্রায় খোলা থাকে, তবে নিচের অংশটা আরেকটি ফিতা বা বেল্ট দিয়ে বাঁধা থাকতে পারে। এছাড়া ইঞ্চি দুয়েক চওড়া করে আটকানোও থাকতে পারে। শারীরিক গঠন ভালো হলে এ ধরনের ব্লাউজ বেশ আকর্ষণীয় লাগে।
হল্টারনেক
হাতাছাড়া এ ধরনের ব্লাউজে শুধু কলার থাকে। দুই কাঁধের ফিতা ঘাড়ের পেছনে কলারের মতো জুড়ে থাকে। গলা, কাঁধ ও পিঠের সৌন্দর্য প্রকাশ করতে এ ব্লাউজ যেকেউ পরতে পারেন।
টিউব চোলি
এই ব্লাউজে কোনো কলার বা হাতা থাকে না। সামনে ও পেছন থেকে শুধু চিকন দুটো বেল্টের মতো অংশ জুড়ে দেয়া থাকে। গলার মাপ খানিকটা বড় হবে। মাপজোখ হতে হবে নিঁখুত।
কলার স্টাইল
এ ব্লাউজে হাতা থাকে না, তবে কাঁধের অংশ খানিকটা চওড়া হয় আর কলার থাকে। সবাইকেই এ ব্লাউজে ভালো মানাবে। হাতা থাকলে কনুইয়ের ওপরে উঠবে না। পছন্দমতো কনুইয়ের নিচ পর্যন্ত যেকোনো স্থানে নামাতে পারেন।
করসেট
করসেট ব্লাউজের কাঁধে সরু স্ট্রাইপ থাকে এবং নিচের অংশ ফিটিং থাকে। যাদের দেহের গড়ন চ্যাপ্টা, তারা করসেট পরতে পারেন। করসেট ব্লাউজে অনেক বড় গলা দিয়ে বানাতে হয় ঠিক মাপে। সঠিক মাপেই এ ব্লাউজের সৌন্দর্য।
বিকিনি
অনেকটা বিকিনির মতো এ ব্লাউজ। গলার ফিতায় বা কাটে পাথর ও মুক্তা বসিয়ে ডিজাইন করা হয়। এর বিশেষ বৈশিষ্ট্য হল দুই জোড়া ফিতা। এক জোড়া গলায় এবং অন্য জোড়া থাকে কোমরে। তবে সামনের অংশটা ঢাকা থাকে যার যতটুকু ইচ্ছা ততটুকু পরিমান।
হঠাৎ জরুরি কোনো অনুষ্ঠানে যোগ দিতে রেডিমেড ব্লাউজের ওপর নির্ভর করতে হয়। সেক্ষেত্রে তৈরি করা ব্লাউজ কিনলেও পরে দর্জি দিয়ে ঠিক করে নিলে আর সমস্যা থাকবে না। তবে আপনার শাড়ির সঙ্গে মানানসই ব্লাউজ ভালো কোনো দর্জি দিয়ে বানিয়ে নেয়া সবচেয়ে নিরাপদ।