৮ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

সৌভাগ্যবতী নীরজা সোনম

“অদমনীয় মনোভাব, অসীম সাহসের জোরে একা একটি মেয়ে লড়াই করেছিল সেদিন। ঘটনাটি ভাবলেই শিহরন জাগে। সত্যিই নীরজা বানোট সম্মানের অধিকারিণী। আর ওনার চরিত্রে অভিনয় করতে পেরে নিজেকে সৌভাগ্যবতী মনে করছি, জানালেন সিনে নীরজা সোনম।
নীরজার বুদ্ধিমত্তায় ও সাহসে জোরে ,আজও এই পৃথিবীর আলো দেখছেন ‘প্যান এ্যাম ফ্লাইট ৭৩’ বিমানের অনেক যাত্রীই। কিন্তু তিনি নিজে মিশে গিয়েছেন অন্ধকারে। তবে বলিউডে বায়োপিকের জোয়ারে সেলুলয়েডে ফুটে উঠতে চলেছে এই সাহসী এয়ারহোস্টেসের কাহিনি। যেখানে নীরজার চরিত্রে দেখা যাবে সোনম কাপুরকে।

১৯৮৬ সাল ৫ সেপ্টেম্বর৷ বিমান তখন মাঝ আকাশে। হঠাৎ চার যাত্রী মুখোশ পরে বন্ধুক তুলে পণবন্ধী করল ‘প্যান এ্যাম ফ্লাইট ৭৩’ এয়ার লাইন্স বিমানের যাত্রীদের। চার জঙ্গির দাবি, আমেরিকান যাত্রীদের চিহ্নিত করে তাঁদের হাতে তুলে দিতে হবে। বিমানটি গতিপথ পাল্টে লাহোরে গিয়ে নামে। সারা বিশ্বের সংবাদ মাধ্যমে তখন ছিনতাই হয়ে যাওয়া বিমানের খুঁটিনাটি আপডেট। যাত্রীরা আতঙ্কে দিশাহারা। ঠিক তখনই ২৩ বছর বয়সী নীরজা বানোট অসম সাহসিকতায় লুকোচুরি খেলতে শুরু করেন সশস্ত্র জঙ্গিদের সঙ্গে। নিজের প্রাণ বিসর্জন দিয়ে মুক্ত করে যাত্রীদের।

এদিকে একটা অসুখী বিবাহ শেষ হওয়ার পর নীরজা এই চাকরিতে ঢোকেন। বিমান ছিনতাইয়ের ঘটনায় ২০ জন যাত্রী মারা গিয়েছিলেন এবং ১০০ জন আহত হয়েছিলেন। বাকি মানুষের জীবন বেঁচে গিয়েছিল নীরজার উপস্থিত বুদ্ধি ও সাহসিকতার জন্যই। নীরজা মরণোত্তর অশোক চত্রু উপাধি দেওয়া হয়েছে।
এই বিমান অগ্নি কন্যাকে নিয়ে পরিচালক রাম মাধোয়ানি বায়োপিক তৈরি করছেন। যেখানে ছবিটির চিত্রনাট্য লিখেছেন ‘মেরি কম’ খ্যাত সাইউইন কোয়াড্রাস।

Share on facebook
Share on twitter
Share on whatsapp
Share on print

মন্তব্য করুন

সর্বশেষ সংবাদ