আসনের বিচার করবে এই ভোটের ফলাফল। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে মনোনয়ন প্রত্যাশী প্রার্থীদের সবচেয়ে বড় পরীক্ষা অর্থাত্ সুপার ট্যুয়েসডের নির্বাচনে ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। এই প্রার্থী বাছাইয়ের প্রক্রিয়ায় ভোট হবে পূর্বে ম্যাসাচুসেটস থেকে পশ্চিমে আলাস্কা পর্যন্ত ১২টি অঙ্গরাজ্যে। ভোট-দৌড়ে রিপাবলিকান পার্টির মনোয়ন প্রত্যাশী ডোনাল্ড ট্রাম্প তার প্রথম অবস্থান বজায় রেখেছেন। তার রঙচঙে নির্বাচনী কৌশল এখানে একটা বড় ভূমিকা রেখেছে। অন্যদিকে প্রতিদ্বন্দ্বী ডেমোক্র্যাটিক পার্টির লড়াইয়ে সামনের কাতারে রয়েছেন হিলারি ক্লিনটন। গত সপ্তাহান্তে মনোনয়ন প্রক্রিয়ার আরেকটি ভোটে তিনি প্রতিদ্বন্দ্বী বার্নি স্যান্ডার্সকে হারিয়েছেন।
গতকালের সুপার ট্যুয়েসডে নির্বাচনেও ক্লিনটন আরেক দফা তার জনপ্রিয়তা প্রমাণ করবেন বলে আশা করছেন। তবে একজন আত্ম-স্বীকৃত সমাজবাদী গণতন্ত্রী স্যান্ডার্সের প্রতি মার্কিন যুব সমাজের ব্যাপক সমর্থন রয়েছে।খবরে বলা হয়েছে, ডেমোক্র্যাটরা আলাবামা, আরাকানসাস, জর্জিয়া, ম্যাসাচুসেটস, ওকলাহামা, টেনিসি, টেক্সাস, ভারমন্ট, ভার্জিনিয়া, কলোরাডো, মিনেসোটা ও আমেরিকান সামোয়া অঙ্গরাজ্যে ভোটাভুটিতে অংশ নেবেন। গতকাল যে ১২টি অঙ্গরাজ্যে ডেমোক্র্যাট সমর্থকরা ভোটে অংশ নিয়েছেন, তার আটটিতে হিলারির জয় সুনিশ্চিত বলে ধারণা করা হচ্ছে।এক জনমত জরিপে দেখা গেছে, ডেমোক্রাটিক দলের মনোনয়ন প্রত্যাশী হিলারি তার একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী সিনেটর বার্নি স্যান্ডার্সের তুলনায় ১৭ শতাংশ পয়েন্টে এগিয়ে আছেন। হিলারি আলাবামা, জর্জিয়া ও ভার্জিনিয়ার মত স্থানগুলোতে কালো ভোটারদের দিকে চোখ রাখছেন। অন্যদিকে রিপাবলিকান সমর্থকরা আলাবামা, আরাকানসাস, জর্জিয়া, ম্যাসাচুসেটস, ওকলাহামা, টেনিসি, টেক্সাস. ভারমন্ট, ভার্জিনিয়া, আলাস্কা ও মিনেসোটায় ভোট দেবেন। যে ১১টি অঙ্গরাজ্যে রিপাবলিকান সমর্থকেরা বাছাই ভোটে অংশ নেন, তার মধ্যে একমাত্র টেক্সাস ছাড়া বাকি সবগুলোতেই ডোনাল্ড ট্রাম্প জয়লাভ করবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।ট্রাম্পের প্রতিদ্বন্দ্বীদের মধ্যে রয়েছেন সিনেটর টেড ক্রুজ ও মার্কো রুবিও। সিনেটর টেড ক্রুজ যদি তার নিজ অঙ্গরাজ্য টেক্সাসে জয়লাভ করেন, তাহলে তাকে হটানো অসম্ভব হবে। আর তৃতীয় অবস্থানে রয়েছেন মার্কো রুবিও। কিন্তু রুবিও এখন পর্যন্ত কোনো অঙ্গরাজ্যেই জয়লাভ করেননি। সুপার ট্যুয়েসডেতেও তার জয়ের কোনো সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না। এদিকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরে দাঁড়ানোর জন্য চাপ রয়েছে অবশিষ্ট দুই রিপাবলিকান মনোনয়ন প্রত্যাশী কারসন ও কেইসিকের ওপর।তবে দেখা যাক শেষ সমেত কার ঝুলি পুরোই!