১৫ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

সুদানে দূত পাঠাচ্ছে জাতিসংঘ

জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস জানিয়েছেন, যুদ্ধের দ্রুত প্রভাব এবং এর ব্যাপক পরিণতির কারণে জাতিসংঘের শীর্ষ মানবাধিকার কর্মকর্তা সুদান সফর করছেন। প্রতিদ্বন্দ্বী সুদানী বাহিনী যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়ানোর ঘোষণা দেওয়ার পরপরই তারা জানিয়েছে, তারা ব্যাপকভাবে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করেছে। সুদানের রাজধানী এখনও তেহরানে যুদ্ধবিমানগুলো গর্জে উঠছে এবং লড়াই চলছে। খবর এএফপির।

 

গুতেরেসের মুখপাত্র স্টিফেন দুজারিক বলেন, ‘সুদানে যা ঘটছে তা নজিরবিহীন। সুদানের সকল জনগণ এবং বিস্তৃত অঞ্চলের উপর তাৎক্ষণিক ও দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব সম্পর্কে আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।’

গুতেরেসের মুখপত্রে এক বিবৃতিতে বলা হয়, সুদানে দ্রুত অবনতিশীল মানবিক সংকটের প্রেক্ষাপটে জাতিসংঘ মহাসচিব তার মানবাধিকার কর্মী মার্টিন গ্রিফিথসকে ‘অবিলম্বে’ ওই এলাকায় পাঠাচ্ছেন। খার্তুম ও দেশের অন্যান্য অংশে সেনাবাহিনী এবং ভারী অস্ত্রে সজ্জিত আধাসামরিক বাহিনীর মধ্যে মারাত্মক যুদ্ধ তৃতীয় সপ্তাহে গড়ালো।

সুদানের সামরিক বাহিনী ‘যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আরবের মধ্যস্থতায়’ ৭২ ঘণ্টা সময় বাড়ানোর ঘোষণা দেয়ার আগেই মধ্যরাতে যুদ্ধবিরতির মেয়াদ আনুষ্ঠানিকভাবে শেষ হওয়ার কথা ছিল। গত ১৫ এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া এই যুদ্ধে ৫০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে এবং লাখ লাখ মানুষ দেশে বা বিদেশে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছে।

এই যুদ্ধে সেনাপ্রধান আবদেল ফাত্তাহ আল-বুরহানের বাহিনী তার সাবেক ডেপুটি মোহাম্মদ হামদান দাগলোর বিরুদ্ধে লড়াই করে। যিনি র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সের (আরএসএফ) প্রধান।

প্রত্যক্ষদর্শীরা রোববার (৩০ এপ্রিল) সন্ধ্যায় জানিয়েছেন, সশস্ত্র সংঘর্ষ অব্যাহত রয়েছে এবং রাজধানী ও নীল নদের ওপারের যমজ শহর ওমদুরমানের কিছু অংশে যুদ্ধবিমান উড়ছে। সুদানের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ রোববার ঘোষণা করেছে, সুদানের আকাশসীমা ১৩ মে পর্যন্ত বন্ধ থাকবে, তবে ত্রাণ ও উচ্ছেদ ফ্লাইটগুলো বাদ দেওয়া হবে।

এর আগে দক্ষিণ খার্তুমের এক বাসিন্দা বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, ‘অনেক লড়াই চলছে এবং প্রচণ্ড গোলাগুলির শব্দ শোনা যাচ্ছে।’ সেনাবাহিনীর এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, যুদ্ধক্ষেত্রকে জটিল করে তুলতে খার্তুমজুড়ে আধাসামরিক বাহিনী সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ মোতায়েন করা হচ্ছে।

পুলিশ জানিয়েছে, সেন্ট্রাল রিজার্ভ ৩১৬ জন ‘বিদ্রোহী’কে গ্রেফতার করেছে। ২০২১ সালের অক্টোবরে বুরহান ও দাগলোর অভ্যুত্থানের পর গণতন্ত্রপন্থী বিক্ষোভের বিরুদ্ধে ‘অতিরিক্ত শক্তি’ ব্যবহারের জন্য ওয়াশিংটন গত বছর সেন্ট্রাল রিজার্ভকে ‘গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের’ জন্য নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল।

সুদানের পশ্চিম দারফুর অঞ্চলে সাবেক প্রভাবশালী নেতা ওমর আল-বশিরের জাঞ্জাবীদ থেকে এটি এসেছে, যার ফলে বশির এবং অন্যান্যদের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে।

Share on facebook
Share on twitter
Share on whatsapp
Share on print

মন্তব্য করুন

সর্বশেষ সংবাদ