সীতাকুণ্ডে পুলিশের গুলিতে যুবক নিহতের ঘটনায় সীতাকুণ্ড মডেল থানায় উপ-পরিদর্শক (এসআই) নাজমুল হুদাসহ এক পুলিশ সদস্য ও এক আনসার সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার রাতে নিহত যুবক সাইফুল ইসলামের ভাই দিদারুল আলম বাদী হয়ে সীতাকুণ্ড মডেল থানা মামলা করলে মামলার তদন্তকারী অফিসার পরিদর্শক (অপারেশ) আবদুল হালিম তাদের আটক করে।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, বুধবার রাতে এসআই নাজমুল হুদা সাদা পোশাকে আনসার সদস্য ইসমাইল হোসেন ও কনস্টেবল আবুল কাশেমসহ সোর্স নিয়ে ভাটিয়ারী তেলিপাড়া এলাকায় আসামী ধরতে যায়। সেখানে স্থানীয় কয়েকজন যুবকের সাথে তাদের কাটাকাটি হলে এস আই নাজমুল হুদা নিহত সাইফুলের জামার কলার ধরে গুলি করে। মুমুর্ষবস্থায় তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষনা করেন। সীতাকুণ্ড সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রেজাউর রহমান বলেন, ঘটনার পর সাইফুল ইসলামের লাশ বৃহস্পতিবার বিকেলে চট্টগ্রাম মেডিকেলে ময়না তদন্ত শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
বুধবার রাতে ঘটনার পর অভিযুক্ত এসআইকে তাৎক্ষণিক চট্টগ্রাম পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছিলো। মামলার দায়েরের পর তাকে পুলিশ লাইন থেকে আটক করে আদালতে প্রেরণ করা হলে বিজ্ঞ বিচারক নাজমুল হুদাকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
চট্টগ্রামের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) রেজাউল মাসুদ বলেন, এ ঘটনায় শুক্রবার সীতাকুন্ড থানায় মামলা করেছে ভুক্তভোগীর পরিবার। এ প্রেক্ষিতে অভিযুক্ত তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর আগে বৃহস্পতিবার দুপুরে তাদের থানা থেকে প্রত্যাহার করা হয়।
প্রসঙ্গত গত বুধবার রাত ৯ টার দিকে সীতাকুন্ড উপজেলার ভাটিয়ারী এলাকার তেলী পাড়ায় সাদা পোশাকে অভিযানে গিয়ে একজনকে আটক করতে গেলে পুলিশের সঙ্গে গ্রামবাসীর সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় পুলিশ গ্রামবাসীর উপর গুলি চালালে সাইফুল ইসলাম নামে এক যুবক নিহত হয়। আহত হয় আরো দুজন। আহতরা বর্তমানে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে। ঘটনার পরপরই বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসী ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে ব্যাপক যানবাহন ভাঙচুর করেছে। পরে রাত সাড়ে ১০টার দিকে অবরোধ তুলে নেয়া হয়। ঘটনার প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জানতে পারেন, থানায় না জানিয়ে ওই পুলিশ সদস্যরা ভাটিয়ারী এলাকায় গিয়েছিল।