‘স্বর্গ যেন পৃথিবীতে নেমে এসেছে, আজ আমাদের আনন্দের দিন।’ চ্যাম্পিয়ন্স লিগের প্রথম শিরোপা জিতে এভাবেই নিজেদের অভিব্যক্তি প্রকাশ করছিলেন ম্যানচেস্টার সিটি সমর্থকরা।
শনিবার (১০ জুন) রাত ১টায় তুরস্কের ইস্তাম্বুলের কামাল আতাতুর্ক স্টেডিয়ামে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে মুখোমুখি হয় ম্যানচেস্টার সিটি ও ইন্টার মিলান। ম্যাচটিতে ইন্টারকে ১-০ গোলে হারিয়ে প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বাদ পায় সিটি।
অপেক্ষাটা কত দিনের? সময়ের হিসাব কষতে গেলে আসবে নানা হিসাব-নিকাশ। কারও কাছে সেটি ক্লাবের বয়সের সমান। আবার কারও কাছে যেদিন থেকে মর্যাদার এই মঞ্চে খেলার সুযোগ পেয়েছিল সিটিজেনরা, সেদিন থেকে অপেক্ষা। কিন্তু হিসেবে যাই আসুক, ফলাফল একটাই। সেটি হলো- চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ম্যানচেস্টার সিটি।
ম্যানচেস্টার শহরের ক্লাব হয়েও চিরদিনই বঞ্চিত হয়ে আসছিলেন সিটি ভক্তরা। কুলীন ইউনাইটেডের সামনে যে বড্ড ফিকে তাদের অর্জনগুলো। তাই কথায় কথায় টিপ্পনীও শুনতে হয়েছে অনেক। কিন্তু আজ আর সেসব নিয়ে ভাবনা নেই। ম্যানচেস্টারের রঙ যে আজ শুধুই নীল।
ফাইনাল ম্যাচে রদ্রির এক গোলের পর রীতিমতো আনন্দে ফেটে পড়েন ম্যানসিটির সমর্থকরা। আনন্দে উন্মাতাল হয়ে পড়েন নারী-পুরুষ, ছেলে-বুড়ো সবাই। এমন মুহূর্ত এর আগে কখনো আসেনি তাদের জীবনে।
সিটি ভক্ত এক নারী বলেন, ‘এটি অবিশ্বাস্য, অসাধারণ। ভাষায় প্রকাশ করতে পারছি না। কীভাবে কী হয়ে গেলো! কিছুই বুঝতে পারছি না। আমি আমার জীবনে এমন মুহূর্তের সাক্ষী হবো কল্পনাও করিনি। পেপ আমাদের জাদুকর, সে সবাইকে উপহার এনে দিয়েছে।’
আরেক ভক্ত বলেন, ‘আজ থেকে আমরাই ম্যানচেস্টার। এখন আর কেউ আমাদের বলতে পারবে না আমরা ম্যানচেস্টার নই। আমাদেরও এখন ট্রেবল আছে, চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শিরোপা আছে।’
এদিকে বারবার কাছে গিয়েও ফিরে আসতে হয়েছে ম্যানস্টোর সিটিকে। শেষবার কপাল পুড়েছিল ইপিএল প্রতিদ্বন্দ্বীদের বিপক্ষে। কিন্তু তারপরও সমর্থন ছাড়েননি এই মানুষগুলো। তাই তো ভক্তদের এমন এই বাঁধ ভাঙ্গা উল্লাস যেন সময়ের সঙ্গে সঙ্গতি এনে দিয়েছে।
ম্যানচেস্টার সিটির জয়ের পরে একজন সমর্থক বলেন, ‘এই ছেলেরা আজ আমাদের জীবনে স্বর্গ নামিয়ে এনেছে। এত বছর এই ক্লাবটাকে সমর্থন করে গেছি শুধু এই দিনটি দেখব বলে। আজ আমার জীবন সার্থক। পেপকে ধন্যবাদ আমাদের এমন জয় এনে দেয়ার জন্য।’
সমর্থকদের আশা, এবার এই ধারাবাহিকতা ধরে রেখে এগিয়ে যাবে তাদের ভালোবাসার ম্যানচেস্টার সিটি।