ঢাকা দক্ষিণ সিটি ও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) মেয়র ও কাউন্সিলরদের সঙ্গে যথাক্রমে আজ রোববার ও কাল সোমবার বৈঠকে বসছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ দুটি বৈঠকেই সভাপতিত্ব করবেন। ঢাকা দক্ষিণ সিটির বৈঠকটি পরিকল্পনা কমিশনের এনইসি সম্মেলন কক্ষে এবং চসিক সিটির বৈঠকটি হবে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে।
ইসি সূত্রে জানা গেছে, মূলত পাঁচটি এজেন্ডা নিয়ে ইসির সঙ্গে সিটির জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। এজেন্ডাসমূহ হচ্ছে, মৃত ভোটারের নাম কর্তন, মৃত্যু রেজিস্ট্রেশন হালনাগাদ করা, তথ্য যাচাই-বাছাই করে জন্ম নিবন্ধন সনদ প্রদান এবং স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র বিতরণে সংশ্লিষ্টদের সহায়তা নেয়া। এছাড়া যারা নতুন ভোটার হতে চায় তাদের সার্বিক সহযোগিতার বিষয়ে বৈঠকে আলোচনা করা হবে।
বৈঠকের বিষয়ে জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. মোখলেসুর রহমান বলেন, আমরা ঢাকা দক্ষিণ ও চসিক সিটির জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। রোববার ঢাকা দক্ষিণ সিটির মেয়র কাউন্সিলরদের সঙ্গে এবং সোমবার চসিকের সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে মতবিনিময় হবে। দুটি সভা আলাদা আলাদা ভেন্যুতে হবে যথাক্রমে ঢাকা ও চট্টগ্রামে। ইতিমধ্যে বৈঠকের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে বলে জানান তিনি।
ইসির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, ২৫ জুলাই থেকে দেশব্যাপী তিন ধাপে ভোটার তালিকা হালনাগাদ শুরু হয়। ইতিমধ্যে তথ্য সংগ্রহ ও নিবন্ধন কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে। কিন্তু দেশের বার্ষিক মৃত্যুহার এবং ইতিপূর্বে যেসব মৃত ভোটারের নাম তালিকা থেকে বাদ দেয়া হয়নি তার বিবেচনায় এবার হালনাগাদ তালিকা থেকে যে মৃত ভোটারের নাম বাদ দেয়া হয়েছে তা সন্তোষজনক নয়। প্রকৃত মৃত ভোটারদের নাম তালিকা থেকে বাদ দিতে ইসি এ বৈঠকের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
কারণ হিসেবে তারা বলেন, ইতিমধ্যে সব ভোটার নাগরিককে স্মার্টকার্ড দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। ব্যয়বহুল কার্ডটি মৃত ভোটারের নামে ইস্যু হলে অর্থের অপচয় হবে এবং কার্ডটির প্রকৃত ব্যক্তির হদিসও মিলবে না। তাই সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ও কাউন্সিলরদের সহায়তা নিয়ে সংশ্লিষ্ট এলাকার মৃত ভোটারের তালিকা সংগ্রহ করা হবে। মূলত এ লক্ষ্যে ইসি তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করছে।
কর্মকর্তারা জানান, আগামী ১ নভেম্বর সকাল ১১টায় এনইসি সম্মেলন কক্ষে সিইসির সভাপতিত্বে দক্ষিণ সিটির মেয়র ও কাউন্সিলরদের সঙ্গে মতবিনিময় হবে। এর জন্য কমিশনের আপ্যায়নে ব্যয় হবে প্রায় ৪০ হাজার টাকা। আর ২ নভেম্বর সোমবার সকাল সাড়ে ১১টায় চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে চসিক সিটির জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক হবে। এখানে ইসির ব্যয় হবে প্রায় ২৬ হাজার টাকা। এর আগে মঙ্গলবার উত্তর সিটি মেয়র ও কাউন্সিলরদের সঙ্গে বৈঠক করেছে কমিশন।
মতবিনিময় সভার কার্যপত্রে দেখা গেছে, ইসির মাঠ পর্যায় থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ভোটার তালিকা বিধিমালা, ২০১২ এর বিধি ২৬ অনুযায়ী মৃত ভোটারের নাম তালিকা থেকে বাদ দেয়া হয়ে থাকে। সিটি কর্পোরেশনের ওয়ার্ড কাউন্সিলর অফিসের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার মৃত্যু রেজিস্টার হালনাগাদের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হলে তা মৃত ব্যক্তিদের নাম বাদ দেয়া ইসির জন্য সহায়ক হবে।