১৪ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

‘সিটির চ্যাম্পিয়নস লিগ জয় তারার মাঝে লেখা হয়ে গেছে’

ইন্টার মিলানকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপা জয়ের পর ম্যানচেস্টার সিটির কোচ পেপ গার্দিওলা বলেছেন তার দলের এই কৃতিত্ব ‘তারার মাঝে লেখা হয়ে গেছে’।

 

স্প্যানিশ স্ট্রাইকার রদ্রির ৬৮ মিনিটের গোলে ইন্টারকে হারিয়ে ম্যানসিটি ক্লাব ফুটবলের সবচেয়ে মর্যাদাকর ট্রফিটি নিজেদের করে নেয়। তুরস্কের আতাতুর্ক অলিম্পিক স্টেডিয়ামে দ্বিতীয়ার্ধে ইন্টার বেশ কিছু সুযোগ নষ্ট করে ম্যাচে ফিরতে পারেননি।

গার্দিওলা ম্যাচ শেষে বিটি স্পোর্টকে বলেছেন, ‘এই জয়টা বেশ কঠিন ছিল। আমার ছেলেরা আজ দুর্দান্ত খেলেছে। বিরতির সময় আমি তাদের ধৈর্য্য ধরার কথা বলেছি। এখানে ভাগ্যের সহায়তারও প্রয়োজন হয়। এডারসন হয়তো কোনটা মিস করতে পারতো, যে কারনে ম্যাচটি ড্র হয়ে যেত। কিন্তু দিন শেষে পুরো ম্যাচটি তারার মাঝে রচিত হয়ে গেছে এবং পুরোটাই আমাদের পক্ষেই থেকে যাবে।’

বার্সেলোনার হয়ে ২০০৯ ও ২০১১ সালে দুইবার শিরোপা জয়ের পর এনিয়ে তৃতীয়বার কোচ হিসেবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপা জিতলেন গার্দিওলা। এছাড়া এবারের মৌসুমে প্রিমিয়ার লিগ ও এফএ কাপে জয়ের পর চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপা জিতে সিটি ঐতিহাসিক ট্রেবল জয়েরও কৃতিত্ব দেখালো।

গার্দিওলার দল শেষ ২৮ ম্যাচে মাত্র একটিতে হেরেছে। সিটি বস বলেন, ‘বিশ্বকাপের পর দলটি একধাপ এগিয়ে গেছে এবং এতে আমরা সবাই শিরোপার ব্যপারে আত্মবিশ্বাসী ছিলাম। এখন শুধুমাত্র এই আনন্দ উপভোগ করতে চাই। হোটেলে ফিরে গিয়ে পরিবার ও বন্ধুদের নিয়ে জয় উৎসব করতে চাই। ম্যানচেস্টারে সোমবার প্যারেড আছে। ট্রেবল জয় সত্যিই বেশ কঠিন ছিল।’

অ্যালেক্স ফার্গুসনের পর দ্বিতীয় কোচ হিসেবে কোন ইংলিশ ক্লাবকে ট্রেবল উপহার দিলেন গার্দিওলা। এ সম্পর্কে গার্দিওলা বলেছেন, ‘স্যার অ্যালেক্স ফার্গুসনের পাশে থাকতে পেরে আমি সত্যিই সম্মানিত বোধ করছি। আজ সকালে আমি ফোনে ফার্গুসনের কাছ থেকে বার্তা পেয়েছি যা আমাকে অনুপ্রাণিত করেছে। তার সঙ্গে থাকতে পারাটা সৌভাগ্যের।’

২০০৮ সালে আবুধাবী ভিত্তিক মালিকের অধীনে সিটির পুনরুত্থান শুরু হয়। সম্প্রতি বেশ কয়েকটি আসরে শিরোপা খুব কাছে গিয়ে হতাশ হতে হয়েছে। দুই বছর আগে অল-ইংলিশ ফাইনালে চেলসির কাছে হারটা ছিল দারুন হতাশার। গত মৌসুমে সেমিফাইনালে রিয়াল মাদ্রিদের কাছে হেরে ইদায় নিতে হয়। গার্দিওলা স্বীকার করেছেন ইউরোপে খেলতে আসা সব দলই ভাল। এখানে জিততে হলে প্রতিটি ম্যাচেই কঠিন পরীক্ষার মুখে পড়তে হয়। ফাইনালে ইন্টারও বেশ ভাল খেলেছে। গার্দিওলার মতে এই আসরে এগিয়ে যেতে হলে ভাগ্যের সহায়তা লাগে।

১৯৯২ সালে বার্সেলোনার খেলোয়াড় হিসেবে শিরোপা জয় করেছিলেন ৫২ বছর বয়সী গার্দিওলা। ইউরোপের নতুন রাজা হিসেবে সিটির যাত্রা শুরু হলো বলে গার্দিওলা বিশ্বাস করেন, ‘একটি শিরোপা জিতে আমরা হারিয়ে যেতে চাইনা। এ কারণে আগামী মৌসুমের জন্য আরো কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। এখানে এমন অনেক দল আছে যারা একটি বা দুটি শিরোপা জিতে হারিয়ে গেছে। কিন্তু আমরা তেমন হতে চাইনা। একইসঙ্গে আমি আরো বলতে চাই এটা সিটির জন্য অনেক বড় স্বস্তির বিষয়। এখানকার সবাই এই ট্রফিটির জন্য মুখিয়ে ছিল। এখন তারা আর আমাকে জিজ্ঞেস করবে না সিটি কি কোনদিন চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপা জিততে পারবে না।’

Share on facebook
Share on twitter
Share on whatsapp
Share on print

মন্তব্য করুন

সর্বশেষ সংবাদ