সালাতুল তাসবিহ নামাজের নিয়মঃ সালাতুত তাসবিহ হাদীস শরীফে ‘সালাতুত তাসবীহ’ নামাযের অনেক ফযীলত বর্ণিত আছে। এই নামায পড়লে পূর্বের গুনাহ বা পাপ মোচন হয় এবং অসীম সওয়ার পাওয়া যাবে। রাসূলুল্লাহ সালল্লাহু তা’আলা আলাইহি ওয়া সাল্লাম স্বীয় চাচা হযরত আব্বাস রাদিআল্লাহু আনহুকে এই নামায শিক্ষা দিয়েছিলেন এবং বলেছিলেন যে, এই নামায পড়লে আল্লাহ আয-যাওযাল আপনার আউয়াল আখেরের সগীরা কবীরা জানা অজানা সকল গুনাহ মাফ করে দিবেন।
তিনি বলেন, চাচা জান ! আপনি যদি পারেন, তবে দৈনিক একবার করে এই নামায পড়বেন। যদি দৈনিক না পারেন, তবে সপ্তাহে একবার পড়বেন। যদি সপ্তাহে না পারেন, তবে মাসে একবার পড়বেন। যদি মাসে না পারেন, তবে বছরে একবার পড়বেন। যদি এটাও না পারেন, তবে সারা জীবনে একবার হলেও এই নামায পড়বেন ( তবু ছাড়বোন না)।
সালাতুল তাসবিহ নামাজের নিয়মঃ চার রকাত । প্রতি রকাতে সূরা ফাতিহার পর, যে কোন সূরা পড়তে পারেন। তবে এই নামাযে বিশেষত্ব এই যে, প্রতি রকাতে ৭৫ বার করে, চার রকাতে মোট ৩০০ বার তাসবীহ পড়তে হবে।
তাসবীহঃ سُبْحاَنَ الله وَالْحَمدُ للهِ وَلآَ اِلَهَ اِلاَّاللهُ وَاللهُ اَكْبرُ উচ্চারণঃ সুবহানাল্লাহি ওয়াল হামদু লিল্লাহি ওয়া লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার। প্রথমে দাড়িয়ে চার রকাতের নিয়্যাত করে, ছানা, তা’উয ও তাসমিয়া পড়ার পড়ে ১৫ বার তাসবীহ অতপর, সূরা ফাতিহার পড়ে, যে কোন একটি সূরা পড়ে দাড়ানো অবস্থায় ১০ বার তাসবীহ অতপর, রুকুতে গিয়ে রুকুর তাসবীহ পড়ে , রুকুঅবস্থায় ১০ বার তাসবীহ অতপর, রুকু হতে উঠে দাড়ানো অবস্থায় ১০ বার তাসবীহ অতপর, ১ম সিজদায় গিয়ে সিজদার তাসবীহ পড়ে, সিজদা রতঅবস্থায় ১০ বার তাসবীহ অতপর, সিজদাহ হতে উঠে বসাঅবস্থায় ১০ বার তাসবীহ অতপর, ২য় সিজদায় গিয়ে সিজদার তাসবীহ পড়ে, সিজদারত অবস্থায় ১০ বার তাসবীহ।
এই ভাবে প্রথম রকাত শেষ করে , বাকি তিন রকাত নামাজ শেষ করতে হবে।
পোস্টটি যতজন পড়েছেন : 400