
তার বয়স হয়েছিল ৯৩ বছর। বুট্রোস ঘালি মিশরের নাগরিক। আরব দেশগুলো থেকে তিনি প্রথম ব্যক্তি, যিনি জাতিসংঘের সর্বোচ্চ পদে অধিষ্ঠিত হন। মিশরের একজন জাঁদরেল কুটনীতিক , বুত্রোস ঘালি ১৯৯২ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত জাতিসংঘের ষষ্ঠ্য মহাসচিব থাকার সময়ে তাঁর দেশের সঙ্গে ইসরাইলের শান্তি চুক্তি সম্পাদন করান।বুট্রোস ঘালির মৃত্যুতে ১৫ সদস্যের নিরাপত্তা পরিষদে ১ মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। ইয়েমেনে মানবিক বিপর্যয় নিয়ে নিরাপত্তা পরিষদে আলোচনার শুরুতে এই নিরবতা পালন করা হয়।
পূর্ব সুরির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে জাতিসংঘের বর্তমান মহাসচিব বান কী মুন স্মরণ করেন যে বুত্রোস ঘালি ইতিহাসের সব চেয়ে অস্থিতিশীল এবং দ্বান্দ্বিক সময়ে তিনি ঐ বিশ্বসভার নের্তৃত্ব দিয়েছেন এবং তাঁরই পৌরহিত্যে বিশ্ব জুড়ে জাতিসংঘের শান্তি রক্ষী মিশনের নাটকীয় বিস্তার ঘটে। জাতিসংঘে তাঁরা মেয়াদে বিশ্ব জুড়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ঘটে যেমন সোভিয়েট ইউনিয়নের পতন , শীতল যুদ্ধের পরিসমাপ্তি , বিশ্বের একমাত্র সামরিক শক্তি হিসেবে যুক্তরাষ্টের অভ্যূদয় এবং আফ্রিকা ও বলাকান অঞ্চলে মানুষের জীবনে সহিংস সঙ্কট।তবে জাতিসংঘের নের্তৃত্বে থাকা কালের পাঁচ বছর বুত্রোস ঘালির জন্য বিতর্কিত সময়ও । যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তাঁর সংঘাতের কারণেই তিনি দ্বিতীয় দফা আর জাতিসংঘের মহাসচিব থাকতে পারেননি । ১৯৯৭ সালে কোফি আনান তাঁর স্থলাভিষিক্ত হন। তিনি হচ্ছেন জাতিসংঘের একমাত্র মহাসচিব যিনি এক মেয়াদের জন্য এই দায়িত্বে ছিলেন।