সা কা চৌধুরীর পক্ষে সাফাই সাক্ষী চেয়ে করা আবেদন আমলে নিলে দেশে অরাজকতার সৃষ্টি হবে বলে মন্তব্য করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। রিভিউ আবেদনের সময়সীমা শেষ হওয়ার পর এ ধরনের আবেদনের সুযোগ নেই বলেও জানিয়েছেন তিনি।
সোমবার দুপুরে নিজ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন অ্যাটর্নি জেনারেল।
সা কা চৌধুরীর পক্ষে করা আবেদনের ব্যাপারে আদালত সিদ্ধান্ত নেবেন জানিয়ে মাহবুবে আলম বলেন, “এ মামলার বিচারের সময় সালাউদ্দিন চৌধুরীর পক্ষে সব তথ্য-উপাত্ত উপস্থাপন করা হয়েছে। আর এগুলো যাচাই-বাছাই করে ট্রাইব্যুনাল এবং আপিল বিভাগ বিচার করেছেন। তবে আমি একজন আইনজীবী হিসেবে ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, ফৌজদারি মামলার ক্ষেত্রে রিভিউর সুযোগ খুবই সীমিত। সাধারণত আদালতের কোনো ভুল পরিলক্ষিত হলে তবেই পুনর্বিবেচনার সুযোগ থাকে।”
অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, নিয়ম অনুযায়ী যেকোনো আবেদনের জন্য রিভিউর সময় ১৫ দিন নির্ধারিত থাকে। কিন্তু সালাউদ্দিন চৌধুরীর পক্ষে এ আবেদন নির্ধারিত সময়ের পরে করা হয়েছে। তিনি বলেন, “এটা তামাদি হয়ে গেছে। এখন এ দরখাস্ত আমলে নিলে অরাজকতার সৃষ্টি হবে। প্রতিটি আসামি একের পর এক দরখাস্ত করবে।”
এর আগে সকালে সা কা চৌধুরীর পক্ষে বাংলাদেশের হাইকোর্টের বর্তমান একজন বিচারপতি ও তার মা সাফাই সাক্ষ্য দিতে চেয়েছেন। এ ছাড়া এ সাক্ষী-তালিকায় রয়েছেন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রীসহ চার নাগরিক এবং যুক্তরাষ্ট্রের একজন সাবেক কূটনীতিক।
সোমবার সাক্ষীদের পক্ষে সা কা চৌধুরীর আইনজীবী আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ আবেদন করেন।
২০১৩ সালের ১ অক্টোবর বিচারপতি এ টি এম ফজলে কবীরের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল সা কা চৌধুরীকে মৃত্যুদণ্ড দেন।
সর্বশেষ রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন করেছেন সাকা চৌধুরী।