[english_date]

সাকা ও মুজাহিদের রায়কে কেন্দ্র করে পুলিশের সারাদেশে ঝটিকা অভিযান

জামায়াত নেতা আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদ ও বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ফাঁসির রায়কে কেন্দ্র করে কোন গোষ্ঠী যেন নাশকতা করতে না পারে সে জন্য সারা দেশেই আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে সতর্ক করেছে সরকার। সারাদেশেই সন্দেহভাজনদের ধরতে চলছে অভিযান। এরই মধ্যে দুই শতাধিক সন্দেহভাজনকে আটক করা হয়েছে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের মিডিয়া বিভাগের উপ-কমিশনার মুনতাসিরুল ইসলাম বলেন, ‘নিরাপত্তার স্বার্থেই দেশব্যাপী এ অভিযান চলছে। যাতে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সৃষ্টি না হতে পারে।’
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা যখন জানতে পারি কোথাও নাশকতার পরিকল্পনা হচ্ছে। সরকার বিরোধী ষড়যন্ত্র হচ্ছে। তখন আমরা তাদের বিরুদ্ধে অভিযান চালাই। চলমান অভিযান তারই অংশ।’
এক দিকে দুই স্বাধীনতাবিরোধী নেতার ফাঁসির রায়, অন্যদিকে দুই বিদেশি হত্যার পর বাংলাদেশের নিরাপত্তা নিয়ে কয়েকটি পশ্চিমা দেশের সতর্কতা-দুইয়ের কারণে পুলিশ, র‌্যাব, গোয়েন্দা সংস্থার কর্মীরা আরও বেশি তৎপর হয়েছেন।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী ও আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের ফাঁসির কার্যক্রম ঠেকাতে ষড়যন্ত্র করছে বিএনপি-জামায়াত। দেশকে অস্থিতিশীল করতেই তারা সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
পুলিশ সূত্র জানায়, দুই বিদেশি খুনের পর দেশের বিভিন্ন জেলায় পলাতক বিএনপি-জামায়াত নেতাকর্মীরা নতুন করে সংগঠিত হতে এলাকায় ফিরে আসছে। তারা গোপনে মিটিং করছে বলেও খবর পাচ্ছেন পুলিশ ও গোয়েন্দারা। যে কারণে তাদের ধরতে শুরু হয়েছে অভিযান। গত দুই সপ্তাহে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড, সাতকানিয়া, নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী, ময়মনসিংহের ত্রিশাল, ঈশ্বরগঞ্জ, কুড়িগ্রাম, জয়পুরহাট, নীলফামারী, নড়াইল ও মাগুরা ও মৌলভীবাজার ও ঢাকায় অভিযান চালিয়েছে পুলিশ।
আটকদের মধ্যে জামায়তের জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের আমির এবং গুরুত্বপূর্ণ পদের নেতা রয়েছে। এদিকে বিএনপি-জামায়াতের যেসব নেতাকর্মী নতুন করে সক্রিয় হওয়ার চেষ্টা করছেন, তাদের তালিকা তৈরি করছে একটি গোয়েন্দা সংস্থা। গ্রেপ্তার এড়াতে এসব নেতাকর্মী কয়েক মাস ধরে আত্মগোপন করে আছেন।
ঢাকায় গত মাসে বিএনপির ২৫০ নেতাকর্মীর একটি তালিকা তৈরি করে পুলিশ। তাদের ধরতেও বিশেষ অভিযানের তাগিদ দেয়া হয়েছে পুলিশের ঊর্ধ্বতন মহল থেকে।
পুলিশ সদর দপ্তরের এক কর্মকর্তা জানান, নতুন করে যেন আর কোনো স্পর্শকাতর খুনের ঘটনা না ঘটে, এ জন্য সারা দেশে পুলিশকে সতর্ক থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত টানা হরতাল-অবরোধকালে মামলার আসামি হয়ে কয়েক হাজার বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মী পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। তারা আবার ফের সক্রিয় হতে পারে বলে শঙ্কা করছেন তারা।
এসব বিষয় নিয়ে জামায়াতের কোনো পর্যায়ের নেতাকর্মীর সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি। তবে জানতে চাইলে বিএনপির মুখপাত্র আসাদুজ্জামান রিপন বলেন, ‘বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের হয়রানি করতেই এসব অভিযান চালানো হচ্ছে।’

Share on facebook
Share on twitter
Share on whatsapp
Share on print

মন্তব্য করুন

সর্বশেষ সংবাদ