৯ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

সরকারের নজরে লেডি ডায়নার কফিনবাহক ব্রাত্য

সে দিনটার কথা আজও ভুলতে পারেন না ফিল ব্যারলেট৷যেদিন  লেডি ডায়নার কফিন বহনকারীদের একজন হিসেবে বেছে নেওয়াহয়েছিল তাঁকে৷ এ দায়িত্ব পেয়ে আগের রাতে ঘুমোতে পারেননি তিনি৷ সরকার যে তাঁকে এরকম একটি কাজের জন্য বেছেছে, এই ভেবেই আপ্লুত হয়েছিলন৷ তারপর পেরিয়েছে দিন৷ আজ ফিল বুঝেছেন, কাজ ফুরোলো আর তাঁদের কদর নেই৷ সরকারের কাছে আজ তাই তিনি ব্রাত্য৷ যুদ্ধে পা হারিয়েছেন৷ কিন্তু কোনও সাহায্য-সহানুভূতি পাননি৷ তাঁর অনুযোগ, ডেভিড ক্যামেরন ও তাঁর পরবর্তী সরকাররাও তাঁকে পাশে সরিয়েই রেখেছেন৷

 ১৯৯৭ সালে লেডি ডায়নার কফিনবাহকের তালিকায় ছিলেন ফিল৷সেদিনটা তাঁর জীবনের এক ‘স্পেশাল’ দিন৷ সেদিনের কথা মনে করে ফিল জানিয়েছেন, আগেরদিন সমওজনের একটি কফিন নিয়ে তাঁরা বারবার রিহার্সাল করেছিলেন, যাতে কোনও ভুলচুকনা হয়৷ প্রাসাদ থেকে লেডি ডায়নার কফিন বের করে আনার সময় অসংখ্য মানুষের কান্না দেখেছিলেন তিনি৷ শুনেছিলেন ডায়নার নাম নিয়ে মানুষের হাহুতাশ৷ দাঁতে ঠোঁট চেপে প্রাণপণে নিজেকে সামলে রেখেছিলেন ফিল৷

সেদিনটার সঙ্গে নিজের আজকের ভাগ্যকে কিছুতেই মেলাতে পারেন না তিনি৷ একাধিক যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছেন৷ আফগানিস্তানে থাকাকালীন বোমার আঘাতে হারিয়েছেন পা৷ তবু কোনও সাহায্য আসেনি সরকারের তরফে৷ সেনা ছাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই ভাড়া বাড়িতে উঠে যেতে হয় তাঁকে৷ সন্তানদের গ্রাসাচ্ছদনের ব্যবস্থা করতে পারেননি৷  একটা সময় মনে হয়েছিল, আত্মহত্যা করা ছাড়া আর কোনও পথ তাঁর সামনে খোলা নেই৷ পেনশন বাবদ যা পান তাতে কোনমতে দিন গুজরান হয়  তাঁর৷ ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ডিগ্রি থাকলেও শারীরিক প্রতিবন্ধকতা হেতু কোনও কাজই তিনি করতে পারেন না৷

সরকারী তরফে অবশ্য জানানো হচ্ছে, অবসরপ্রাপ্ত সেনাদের খেয়াল রাখাতে কোনও বিচ্যুতি হয় না৷যদিও ফিল নিজের জীবন দিয়ে বুঝতে পারছেন সে ‘খেয়াল রাখা’ ঠিক কীরকম!

Share on facebook
Share on twitter
Share on whatsapp
Share on print

মন্তব্য করুন

সর্বশেষ সংবাদ