বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বিদেশি নাগরিক হত্যার ঘটনা নিয়ে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের নেতাদের দায়িত্বহীন উক্তি তদন্তে বাধা সৃষ্টি করবে। এতে প্রকৃত আততায়ীকে চিহ্নিত করতেও বাধার সম্মুখীন হতে হবে। রবিবার পৌনে তিনটায় গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল এই কথা বলেন।
বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল সরকারের বা আওয়ামী লীগের কোনো নেতার নাম উল্লেখ করেননি।অবশ্য মির্জা ফখরুল বিবৃতিতে দেওয়ার দুই ঘণ্টা আগে সংবাদ সম্মেলনে প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বিদেশি হত্যায় বিএনপি-জামায়াতের হাত আছে। বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল বলেন, দুজন বিদেশি নাগরিককে হত্যার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। এ ধরনের হত্যাকাণ্ড প্রমাণ করে যে বর্তমানে দেশে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অত্যন্ত নাজুক। সরকারের উচ্চ পর্যায়ের নেতৃবৃন্দের দায়িত্বহীন উক্তি কেবলমাত্র তদন্তের ব্যাঘাত সৃষ্টি করবে না, বরং প্রকৃত আততায়ীকে চিহ্নিত করতেও বাধার সম্মুখীন হতে হবে।
সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দু’জন বিদেশি নাগরিককে হত্যাকারী আততায়ীদের গ্রেপ্তার করে শাস্তি দেওয়ার দাবি জানান মির্জা ফখরুল।এর আগে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বেলা এক টার দিকে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির মুখপাত্র আসাদুজ্জামান রিপন প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যকে অনভিপ্রেত ও দুঃখজনক বলে অভিহিত করে এদিকে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় নয়াপল্টনে প্রধানমন্ত্রীর সেই সংবাদ সম্মেলন পর্যবেক্ষণ করেন দলটির মুখপাত্রের দায়িত্বে থাকা আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ড. আসাদুজ্জামান রিপনসহ বেশ কয়েকজন নেতা। পরে বিএনপির মুখপাত্র দলের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানান।
আসাদুজ্জামান রিপন বলেন, শাসক দলের প্রধানের কাছ থেকে আমরা দায়িত্বশীল বক্তব্য আশা করি। দুই বিদেশি হত্যাকাণ্ডের আমরা তীব্র নিন্দা করি। দোষীদের শাস্তি দাবি করি। দ্রুত তদন্ত দাবি করছি। কিন্তু একটা তদন্তাধীন বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী যে বক্তব্য দিয়েছেন তা দুঃখজনক ও অনভিপ্রেত।এতে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে মন্তব্য করে বিএনপির এই নেতা বলেন, পুলিশ সাদাপোশাকে অভিযান চালায়। কিন্তু র্যাব সাদা পোশাকে বিরোধী দলের নেতাকর্মী তুলে নেয়। এটা আইনের মধ্যে পড়ে বলে জানা নেই। তারা তুলে নিয়ে অস্বীকার করছে। এতে করে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে। ফোকাস বাংলা।
পোস্টটি যতজন পড়েছেন : 111