সরকারি চাকরিজীবীদের নতুন বেতনকাঠামোর প্রজ্ঞাপন জারি হওয়ার আগে যেসব কর্মকর্তা সিলেকশন গ্রেড পেয়েছেন, তাঁদের সে সুবিধা বহাল থাকবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। তিনি বলেছেন, যাঁরা এটি পেয়েছেন, তাঁদের টাকা ফিরিয়ে নেওয়া হবে না।
সচিবালয়ে গতকাল মঙ্গলবার ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশের (আইডিইবি) সঙ্গে বৈঠকের পর অর্থমন্ত্রী সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন। আইডিইবির আগে দুপুরে পরমাণু শক্তি কমিশনের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তারা অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন।
অর্থমন্ত্রীর কাছে প্রশ্ন ছিল, গত আগস্ট ও সেপ্টেম্বর মাসে প্রজ্ঞাপন জারি করে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় সাতটি বিসিএস ক্যাডারের কর্মকর্তাদের সিলেকশন গ্রেড দিয়েছে। গত ২ জুলাই থেকে যা কার্যকরও হয়েছে। ক্যাডারগুলো হচ্ছে বিসিএস প্রশাসন, পুলিশ, তথ্য, গণপূর্ত, আনসার, সমবায় এবং সড়ক ও জনপথ। মোট ২৮টি ক্যাডারের মধ্যে এই সাতটি বাদে বাকি ক্যাডারগুলোর কর্মকর্তাদের ক্ষেত্রে কী হবে—এ প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘যাঁরা পেয়েছেন, তাঁরা পেয়েছেন। তাঁদেরটা বহাল থাকবে। নতুন বেতনকাঠামোর প্রজ্ঞাপন জারির আগে যাঁরা সিলেকশন গ্রেড দিতে পারেননি, তাঁরাও এখন দিতে পারেন।’
গত রোববার অর্থমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেছিলেন, চলতি সপ্তাহেই নতুন বেতনকাঠামোর প্রজ্ঞাপন জারির খসড়া আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। সেখান থেকে ফিরে এলে পাঠানো হবে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে ফিরে এলে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।
অর্থমন্ত্রী গতকালও বলেন, নতুন বেতনকাঠামোতে সিলেকশন গ্রেড ও টাইম স্কেল থাকবে না। বিভিন্ন পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেড বহাল রাখার দাবি জানিয়ে আসছেন। গতকাল আইডিইবি ও বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তারাও একই দাবি জানান।
আইডিইবির সভাপতি এ এম এ হামিদ বলেন, সিলেকশন গ্রেড ও টাইম স্কেল বাতিল করলেও বেতনকাঠামোর ধাপ ২০টির পরিবর্তে ১৫-১৬টি করতে হবে। নইলে ক্ষতি হবে কর্মচারীদের।
বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা সমিতির সভাপতি মজিবুর রহমান বলেন, সুযোগ-সুবিধা কম থাকায় পরমাণুবিজ্ঞানীরা এখনই দেশে থাকতে চান না। সিলেকশন গ্রেড ও টাইম স্কেল বাতিল হলে আরও নিরুৎসাহিত হবেন তাঁরা।
অর্থমন্ত্রী বলেন, আগামী বছরের জানুয়ারি থেকে নতুন কাঠামো অনুযায়ী সবাই বেতন তুলতে পারবেন। গত জুলাই থেকে হিসাব করে এর মধ্যে তাঁদের বকেয়াগুলোও দেওয়া হবে।