সব ব্যাংকের জন্য স্কুল ব্যাংকিং সেবা দেওয়া বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন গভর্নর ড. আতিউর রহমান ।
তিনি বলেন,‘এক্ষেত্রে যে ব্যাংক ভালো বা খারাপ করবে কেন্দ্রিয় ব্যাংকের মূল্যায়ন রিপোর্টে তার প্রভাব পড়বে। শিগগিরই এ বিষয়ে ব্যাংকগুলোর জন্য নির্দেশ দেওয়া হবে।’
শনিবার রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ২০১৪ ও ১৫ সালে অনুষ্ঠিত স্কুল ব্যাংকিং সম্মেলনের পর্যালোচনা ও স্বীকৃতি প্রদান উপলক্ষ্যে মিরপুরে বাংলাদেশ ব্যাংক ট্রেনিং একাডেমিতে এ অনুষ্ঠানের আয়োজ করা হয়।
অনুষ্ঠান থেকে স্কুল ব্যাংকিং সেবা প্রদানকারী ব্যাংকগুলোকে স্বীকৃতি হিসেবে একটি করে ক্রেস্ট দেওয়া হয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ৫৬টি ব্যাংকের মধ্যে ৪৯টি ব্যাংক স্কুল ব্যাংকিং কার্যক্রম করেছে। এসব ব্যাংকে হিসাব রয়েছে সাড়ে ৮ লাখের বেশি।
অনুষ্ঠানে অন্যান্য্যের মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর এসকে সুর চৌধুরী ও নির্বাহী পরিচালক ম. মাহফুজুর রহমান বক্তব্য রাখেন।এসময় কেন্দ্রিয় ব্যাংক ও বিভিন্ন ব্যাংকের উর্ধ্বতন নির্বাহীরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে গভর্নর বলেন, আর্থিক অন্তর্ভূক্তির অন্যতম প্রধান পদক্ষেপ হলো স্কুলগামী ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য ন্যুনতমজমায় ব্যাংক হিসাব খোলার ব্যবস্থা করা। স্কুল শিক্ষার্থীদের মধ্যে সঞ্চয়ের মানসিকতা গড়ে তোলার পাশাপাশি মৌলিক আর্থিক বিষয়ে জ্ঞান দান করতে পারলে একটি টেকসই ভবিষ্যৎ প্রজন্ম গড়ে তোলা সম্ভব। তাদের অ্যাকাউন্টের বিপরীতে এটিএম কার্ড, মোবাইল ব্যাংকিংসহ নানা সুবিধা দিতে হবে। বর্তমানে ব্যাংকগুলোর জন্য স্কুল ব্যাংকিং ঐচ্ছিক হলেও শিগগিরই বাধ্যতামূলক করে সার্কুলার দেওয়া হবে।