মাহমুদ মুজিব, বিশেষ প্রতিনিধি :
সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের সঙ্গে কওমি মাদরাসার আলেম-উলামাদের কোনো সম্পর্ক অতীতে ছিলো না, এখনও নেই। থাকার প্রশ্নই আসে না। ইসলাম সব ধরনের সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে। আজ যারা সন্ত্রাস করছে, তারা ইসলামের প্রকৃত অনুসারী না। সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে আলেম-উলামা ও কওমি মাদরাসায় অবস্থানের ষ্পষ্ট করে সন্ত্রাসী কাজে লিপ্তদের সন্ত্রাসের পথ ছেড়ে আসারও আহ্বান জানান জামিয়া ইসলামিয়া পটিয়া মাদরাসার মহাপরিচালক শায়খুল হাদিস শায়খুল হাদিস আল্লামা আবদুল হালিম বোখারি।[ad id=”28167″]
উত্তরবঙ্গের ১৬ জেলার কওমি মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড তানযীমুল মাদারিসিল কাওমিয়া বাংলাদেশের উদ্যোগে আয়োজিত উলামা সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন আত্মশুদ্ধি অর্জনের মাধ্যমে নিজেকে পরিশুদ্ধ করে সমাজসেবায় নিয়োজিত হতে হবে। কোনো ধরনের অন্যায়ের কাছে মাথানত করা যাবে না।
তিনি আরো বলেন, ইসলামি আদর্শ ও মূল্যবোধ মুছে ফেলতে নানা অপতৎপরতা, ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তের মাত্রা দিন দিন বেড়ে চলছে। এমতাবস্থায় পবিত্র কোরআনে কারিম ও হযরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সঠিক শিক্ষা এবং আদর্শের প্রচার-প্রসারে নিরলসভাবে কাজ করতে হবে। সমাজের সর্বত্র শান্তির ধর্ম ইসলামের বার্তা ছড়িয়ে দিতে হবে। ইসলামের নান্দনিক আদর্শের কথা মানুষকে জানাতে হবে।
মঙ্গলবার বগুড়া জামিল মাদরাসার প্রাঙ্গণে বোর্ড সভাপতি মুফতি আরশাদ রাহমানীর সভাপতিত্ত্বে অনুষ্ঠিত উলামা সম্মেলেন দেড় হাজারের অধিক মাদরাসা শিক্ষকরা যোগ দেন। সমাবেশে মাওলানা আবদুল হক হক্কানী উদ্বোধনী বক্তব্য রাখেন। উলামা সমাবেশে বিভিন্ন জেলার প্রতিনিধিরাও বক্তব্য রাখেন। সমাবেশটি সকাল ১০টায় শুরু হয়ে শেষ হয় দুপুর ২টায়।
উলামা সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে দক্ষিণবঙ্গ কওমি মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান ও গওহরডাঙ্গা মাদরাসার মহাপরিচালক মাওলানা মুফতি রুহুল আমিন বলেন, এখন চারদিকে ছড়িয়ে পড়ছে হিংসা, বিদ্বেষ ও দলাদলি। এসব থেকে আলেম-উলামা ও মাদরাসার ছাত্রদের দূরে থাকতে হবে। সেই সঙ্গে শিক্ষার মানোন্নয়নে শিক্ষকদের যুগোপযোগী প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেত হবে। সব ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে নিজেদের মধ্যে সীসাঢালা প্রাচীরের ন্যায় ঐক্য গড়ে তুলে দেশকে এগিয়ে নিতে হবে।
সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন, মাওলানা নজরুল ইসলাম, মাওলানা রুহুল আমীন, মাওলানা হাফিজুর রহমান, মাওলানা আবদুল বারী শাহীন, মাওলানা আবদুল বাসেত, মাওলানা আমিনুল ইসলাম, মাওলানা আবদুল হান্নান, মাওলানা আবদুস সুবহান, মাওলানা শরিফুল ইসলাম, মাওলানা খলিলুল্লাহ, মাওলানা ইউনুছ আহমদ, মাওলানা হুসাইন আহমাদ, মাওলানা শামছুল হুদা খান, মুফতি ইবরাহীম খলিল, মাওলানা সিরাজুল ইসলাম, মাওলানা মাহবুবুল ইসলাম, মাওলানা আবদুস সবুর, মাওলানা কাজী ফজলুল করিম রাজু, মাওলানা শফি কাসেমি ও মাওলানা মাহমুদ।
উল্লেখ্য যে, উত্তরবঙ্গের কওমি মাদরাসাগুলোর শিক্ষা বোর্ড তানযীমুল মাদারিসিল কাওমিয়া বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৯৫ সালে। এ বোর্ডের অধীনে ১৫৬৩টি মাদরাসা রয়েছে।।