জয় বাংলা শিল্পী গোষ্ঠীর উদ্যোগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র ৭১তম
জন্মদিন ও বিশ্ব শিশু দিবস উপলক্ষে চিত্রাংকন ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা সম্পন্ন
শেখ হাসিনা স্বমহিমায় উদ্ভাসিত হয়ে, মানবতার মা’র আসনে ভূষিত
জয় বাংলা শিল্পী গোষ্ঠী চট্টগ্রামের উদ্যোগে ২৭ অক্টোবর’১৭ শুক্রবার বিকাল ৩টায় কদম মোবারক এম.ওয়াই উচ্চ (বালক-বালিকা) বিদ্যালয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র ৭১তম জন্মদিন ও বিশ্ব শিশু দিবস উপলক্ষে চিত্রাংকন ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। বিপুল সংখ্যক প্রতিযোগী প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে। এতে বিচারকের দায়িত্ব পালন করেন সাংস্কৃতিক সংগঠক ডা: আশীষ চৌধুরী, শিল্পী কাকলী দাশগুপ্তা। তবলায় ছিলেন দেবেন্দ্র দাশ দেবু। সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন সজল দাশ। সন্ধ্যায় আলোচনা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ কৃষক লীগ চট্টগ্রাম মহানগরের যুগ্ম আহ্বায়ক এড. মোস্তফা আনোয়ারুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির আসন অলংকৃত করেন সাবেক সিনিয়র সহকারী জজ, প্রবীণ রাজনীতিবিদ ও সমাজসেবক এড. মনজুর মাহমুদ খান। উদ্বোধক হিসেবে ছিলেন চট্টগ্রাম আইন কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক জি.এস ও মহানগর যুবলীগ নেতা সুমন দেবনাথ। বিশেষ আলোচক হিসেবে ছিলেন আওয়ামীলীগ নেতা দীপংকর চৌধুরী কাজল, চসিকের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো: আবদুর রহিম ও ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব সুনীল কান্তি দে। স্বাগত বক্তব্য রাখেন জয় বাংলা শিল্পীগোষ্ঠীর সভাপতি সজল দাশ। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক শিল্পী নারায়ণ দাশ। এতে আরো বক্তব্য রাখেন অধ্যক্ষ রতন দাশগুপ্ত, কবি আসিফ ইকবাল, ছাত্রনেতা বোরহান উদ্দিন গিফারী ও সংস্কৃতিকর্মী দিলীপ সেনগুপ্ত। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষিকা রিংকু ভট্টাচার্য, সংগঠক সুজিত চৌধুরী মিন্টু, শিল্পী ডা: শিউলী চৌধুরী, সংগঠক শিমুল দত্ত, শিল্পী অচিন্ত্য কুমার দাশ, সংগঠক সোহেল তাজ, চিত্রশিল্পী সমীর পাল, অনুপম সেন গুপ্ত, রতন ভট্টাচার্য, হারাধন নাহার (বাসু), সত্যজিৎ দাশ, মো: আলাউদ্দিন, আনন্দ মজুমদার, শ্যামল বড়–য়া, রতœা রাণী সিন্হা, গোবিন্দ বোস, মো: সাহেদ, মিঠুন ঘোষ, নারায়ণ সাহা, রোজী ধর, রঞ্জনা বনিক, রাহুল দত্ত, রুমি বড়–য়া, গীতিকা দত্ত, ক্ষমা দাশগুপ্তা, নাহিদ শারমিন, সাবিনা আকতার, মলি বিশ্বাস, অপরূপা দাশ, পপি ভৌমিক, অরজিৎ দাশ ও আমির হামজা প্রমুখ। প্রধান অতিথি এড. মনজুর মাহমুদ খান বলেন, শেখ হাসিনা স্বমহিমায় উদ্ভাসিত হয়ে, মানবতার মা’র আসনে ভূষিত হয়েছেন। এতে বহির্বিশ্বে বাঙালি ও বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হয়েছে। তিনি মেধা-চিন্তা-মননের সংমিশ্রণে দেশের অগ্রগতির সোপান রচনা করেছেন। এ জন্য আমরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে কৃতজ্ঞ। তিনি শিশু-কিশোরদের সুশিক্ষিত হয়ে আমাগীদিনে দেশ গঠনে ভূমিকা পালন করার আহ্বান জানান এবং সাথে সাথে পিতা-মাতাসহ গুরুজনদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের পরামর্শ দেন। উদ্বোধক সুমন দেবনাথ বলেন, বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত রেখে যাওয়া কাজ গুলো তাঁর সুযোগ্য কন্যা দেশরতœ শেখ হাসিনা অবিচল থেকে করে যাচ্ছেন। তাঁর দেশপ্রেম ও মানুষের প্রতি ভালোবাসা অনেকের কাছে ঈর্ষণীয় ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। তিনি সাথে সাথে সুস্থ সংস্কৃতির চর্চার প্রতি গুরুত্বারোপ করেন। সভার সভাপতি এড. মোস্সতফা আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন ও বিশ্বশিশু দিবস উপলক্ষে এ মহতী আয়োজনের সংগঠনের কর্মকর্তাদের ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন এবং শিশুদের মেধা বিকাশের জন্য আরো বেশি করে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার আহ্বান জানান। পরিশেষে প্রধান অতিথি অন্যান্য অতিথিদের সাথে নিয়ে প্রতিযোগিতায় বিজয়ী ও অংশগ্রহণকারীদের ক্রেস্ট প্রদান করেন। অনুষ্ঠানে নতুন প্রজন্মের শিল্পীরা সংগীত পরিবেশন করেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন সজল দাশ।