[english_date]

শেখ হাসিনার কারণেই বিশ্বে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ

শেখ হাসিনা দেশে ফিরেছেন বলেই স্বাধীনতার সুফল পেয়েছেন জনগণ। তার নেতৃত্বেই বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস নিয়ে এমন মন্তব্য রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের। তারা বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ ছাড়াও দেশে জীবন মানের উন্নয়ন ও সামাজিক নিরাপত্তাসহ সব সূচকের অগ্রগতিই শেখ হাসিনার অর্জন।

১৯৮১ সালের এদিনে (১৭ মে) ছয় বছর পর সামরিক সরকারের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে দেশে ফিরেন শেখ হাসিনা। বঙ্গবন্ধুর হত্যার পর নেতাদের পরামর্শে তার অনুপস্থিতিতে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বের ভার দেয়া হয় প্রবাসে থাকা বঙ্গবন্ধু কন্যার হাতে।

সেদিন বিমানবন্দর থেকে ধানমণ্ডি ৩২ নম্বর পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু কন্যাকে স্বাগত জানাতে উপস্থিত ছিলেন দলের লাখ লাখ নেতা-কর্মী। প্রবল বৃষ্টি-ঝড় উপেক্ষা করেই আওয়ামী লীগের তৎকালীন সভাপতি শেখ হাসিনাকে অভ্যর্থনা জানান তারা। তিনি সিক্ত হন অগণিত মানুষের ভালোবাসায়।

দেশে ফিরলেও সেদিনের যাত্রা আর রাজনীতিতে ফেরা সুখকর ছিলো না তার। সামরিক সরকার সেদিন ধানমন্ডিতে নিজের বাসভবনেও তার প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিলেন। পরে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে অস্থায়ী মঞ্চে লাখো জনতার সামনে বক্তব্য রাখেন সদ্য দলের দায়িত্ব নেয়া সভাপতি শেখ হাসিনা।

সেখান থেকে শুরু করে দীর্ঘ ৪৩ বছরে দলকে করেছেন গতিশীল, রাষ্ট্রকে দিয়েছেন অসামান্য অর্জন। বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশ দাঁড়িয়েছে মাথা উঁচু করে। তার নেতৃত্বে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে দেশের সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি সর্বজনীন সাম্য অর্জন শেখ হাসিনার সবচেয়ে বড় কৃতিত্ব বলে মন্তব্য দলের জ্যেষ্ঠ নেতাদের।

১৪ দলের সমন্বয়ক ও মুখপাত্র আমির হোসেন আমু বলেন, ‘শেখ হাসিনার আগমন দেশের জন্য সৌভাগ্যের। তিনি আছেন বলেই দেশের মানুষ স্বাধীনতার সুফল ভোগ করতে পারছেন; অর্থহীন হয়নি আমাদের স্বাধীনতা।’

শেখ হাসিনা নেতৃত্ব দিয়ে শুধু আওয়ামী লীগকে নয়, দেশকেও সমৃদ্ধ করেছেন বলে দাবি রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের। তারা বলেন, ১৯৮১ সালের ১৭ মে সাম্প্রদায়িকতার বিপক্ষে অসাম্প্রদায়িকতা ও মানবতার প্রত্যাবর্তন হয়েছে। শেখ হাসিনা পশ্চাদ্মুখী বাংলাদেশকে মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশে রূপ দিয়েছেন।

সেদিনের কথা মনে করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর মানুষ যেমন অভিভাবকত্বহীন হয়ে পড়েছিল, শেখ হাসিনার আগমনে তার মাঝে মানুষ বঙ্গবন্ধুরই ছায়া দেখতে পেয়েছিল। তাইতো তিনি দেশে ফিরছে শুনে মানুষ বৃষ্টিতে ভিজে সেদিন শেখ হাসিনাকে দেখতে গিয়েছিল।

এ অধ্যাপক আরও বলেন, শেখ হাসিনা দেশের মানুষের সেই আস্থার প্রতিদান দিয়ে চলেছেন। বাংলাদেশের মাথাপিছু আয়, প্রবৃদ্ধি, সক্ষমতা – সবকিছুই তার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের ফসল।

Share on facebook
Share on twitter
Share on whatsapp
Share on print

মন্তব্য করুন

সর্বশেষ সংবাদ