[english_date]

শিশুর আইকিউ বাড়ানোর সহজ উপায়

আইকিউ, অর্থাৎ বুদ্ধি বেশি শানানো না হলে এখন প্রতিযোগিতার দুনিয়ায় টেকা দায় ৷ কিন্তু শিশুদের আইকিউ কীভাবে বাড়ানো যায়? খুব সহজ কিছু উপায় দেখিয়েছেন শিশু বিশেষজ্ঞ ক্যারেন কুইন৷

সব বিষয়ে কথা বলুন

আপনার সন্তানের সঙ্গে সম্ভব হলে সব বিষয়েই কথা বলবেন৷ এতে অল্প অল্প করে জ্ঞান তো বাড়বেই, পাশাপাশি ভাষায় দক্ষতাও বাড়বে৷ শিশু বেশি কথা বললেই ভালো ৷ কথা বলায় নিরুৎসাহিত করা তাদের বিকাশের জন্য ক্ষতিকর৷ এক গবেষণায় দেখা গেছে, যেসব শিশু খুব কম কথা বলে, তাদের তুলনায় বেশি কথা বলতে অভ্যস্ত শিশুদের বুদ্ধি অন্তত ২৮ পয়েন্ট বেশি৷

ভাবনা আর দেখার জগতটা বড় করুন

নানা ধরনের রং, বিভিন্ন আকৃতির বস্তু, নানা রকমের ফল এবং প্রাণী দেখাতে হবে শিশুদের৷ স্কুলে যদি সে ব্যবস্থা থাকে তাহলে তো কথাই নেই৷ তবে নিজেও এমন কিছু বই কিনে দিন, যা পড়ে বা যেসব বইয়ের ছবি দেখে শিশু এ সব সম্পর্কে জানতে পারে৷

গুনতে শেখান

বাচ্চাদের খুব সহজেই গুনতে শেখানো যায়৷ এই যেমন যদি বলেন, ‘‘পাঁচ মিনিটের মধ্যে খাবার তৈরি হয়ে যাবে’’ – তাহলে কিন্তু শিশু ৫ সংখ্যাটার সঙ্গে পরিচিত হলো৷ যদি বলেন, ‘‘তোমার তিনটা চকলেট আছে, আমার আছে দুটো’’ – তাহলে আপনি ওকে ২ আর ৩ শিখতে সহায়তা করলেন ৷ চকলেট যদি হাতে নিয়ে দেখান – তাহলে ওরা আরো উৎসাহ নিয়ে সংখ্যাগুলো শেখার সঙ্গে সঙ্গে গুণতেও শিখবে৷

স্মৃতি পরীক্ষা

কোনো বই পড়া শেষ হলে আপনার সন্তানকে বইয়ের গল্পটা নিজের মতো করে বলতে বলুন৷ এভাবে শিশুর স্মৃতিশক্তি বাড়ানো যায়৷ স্মৃতিশক্তি বাড়ানোর আরো সহজ উপায়ও আছে৷ টেবিলের ওপর কিছু ক্যান্ডি রেখে সন্তানকে দেখান৷ দেখা হয়ে গেলে ক্যান্ডিগুলো কাগজ বা কাপড় দিয়ে ঢেকে দিন৷ তারপর ওকে বলুন টেবিলের ফাঁকা জায়গায় সমান সংখ্যক চকলেট ক্যান্ডির মতো সাজিয়ে রাখতে৷ এভাবেও শিশুর স্মৃতিশক্তি বাড়ানো যায়৷

খেলনা

পাজল, লেগো কাঠের তৈরি নানা ধরণের ব্লক – এ সব বাচ্চাদের জন্য স্রেফ খেলনা হলেও, ওদের বুদ্ধাঙ্ক বা আইকিউ বৃদ্ধিতে খুব ভালো ভূমিকা রাখে ৷

সমস্যার সমাধান

নিজের কাপড় নিজেকেই পরতে দিন৷ খুব বেশি সময় লাগছে? বিরক্ত হবেন না৷ ওকে সময় দিন, ওর মতো করে কম সময়ে কাজটা শেষ করার সুযোগ দিন৷ ধীরে ধীরে ও সমস্যাটার একটা সমাধান ঠিকই বের করবে৷ এভাবে রাতের খাবারে কী কী খাওয়া যায়, ও কোথায় বেড়াতে যেতে চায় – এ ধরণের সিদ্ধান্ত নেয়ার সুযোগও দিন বাচ্চাদের৷ এর ফলে ওদের চিন্তা করা এবং সমস্যা সমাধানের ক্ষমতা বাড়বে৷

সৃষ্টিশীল কাজ

বাসায় ছবি আঁকার কাগজ, রং, তুলি, কাঁচি, আঠা, ব্রাশ – এ সব রাখতে ভুলবেন না৷ এ ধরনের জিনিস নিয়ে খেলতে খেলতেও অনেক শিশু সৃষ্টিশীল কাজে আগ্রহী হয়ে ওঠে৷ পরবর্তী জীবনে এই আগ্রহটাই হয়ত ওকে অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যাবে৷

 

Share on facebook
Share on twitter
Share on whatsapp
Share on print

মন্তব্য করুন

সর্বশেষ সংবাদ