মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, লামা (বান্দরবান) প্রতিনিধি ঃ
সাংসারিক বিরোধ, সম্পত্তির ভাগ-ভাটোয়ারা, জমিনের ধান গরু খাওয়া ও প্রতিপক্ষ ‘শাশুড়ি, ননদকে’ ফাসাতে ফাঁসির নাটক করেছিল গৃহবধূ পারুল বেগম (২৫)। সরজমিনে গেলে আশপাশের লোকজন, জনপ্রতিনিধি ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার সাথে আলাপকালে বিষয়টি জানা যায়।
জানা গেছে, গত ৩০শে সেপ্টেম্বর শনিবার বান্দরবানের লামার সদর ইউনিয়নের চিউনী পাড়া এলাকায় গৃহবধূ পারুল বেগম’কে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যার চেষ্টা করে শাশুড়ি ও ননদ। এমন অভিযোগ এনে ঘটনায় পরবর্তী সময়ে লামা থানায় অভিযোগ দায়ের করে পারুল বেগম। দূর্গম এলাকা হওয়ায় ভিকটিমের মুখের বক্তব্য নিয়ে সেইদিন বিভিন্ন পত্রিকায় “গৃহবধূকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যার চেষ্টা” শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়। উক্ত ঘটনাটি সাজানো বলে দাবী করে প্রতিপক্ষ পারুলের শাশুড়ি সায়েরা বেগম, মাবিয়া খাতুন, ননদ নুরনাহার ও ননদের স্বামী মুক্তার হোসেন।
পারুল বেগম ও তার শাশুড়ির বাড়ির পাশর্^বর্তী জহির হোসেন, হামিদা বেগম, আব্দুল সহ অনেকে বলেন, তাদের মধ্যে পারিবারিকভাবে সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ আছে। পারুলের শাশুড়িদের গরু তার ধান খেলে উভয়ের মধ্যে শনিবার সকালে ঝগড়া হয়। আমরা তাদেরকে ঝগড়া না করতে বলি এবং যার যার ঘরে চলে যেতে বলি। তারা সবাই নিজেদের ঘরে চলে যায়। পারুল বেগম তার ঘরে ডুকে দরজা বন্ধ করে দেয়। তার স্বামী ওমর ফারুক দরজা বন্ধ দেখে আমাদের ডাকলে আমরা সহ দরজা খুলে পারুল কে দড়ি থেকে নামাই। বিবাদীরা নিজেদের ঘরে ছিল। মূলত বিবাদীদের ফাসাতে ফাঁসির নাটক করা হয়।
স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বার আবুল কাসেম বলেন, বিষয়টি আমরা সবার কাছ থেকে জেনেছি। ঘটনাটি সাজানো ও পরিকল্পিত। পূর্বশত্রুতা ও সম্পত্তির বিরোধের জের ধরে ঘটনাটির সৃষ্টি।
এবিষয়ে লামা থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক ও অভিযোগের তদন্তকারী অফিসার মো. গিয়াস উদ্দিন বলেন, আমরা অভিযোগ পেলে বিষয়টি তদন্ত করতে সদর ইউনিয়নের দূর্গম চিউনী পাড়ার পারুলের বাড়িতে যায়। আশপাশের লোকজন ও জনপ্রতিনিধিদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য মতে বিষয়টি সাজানো বলে প্রাথমিক ভাবে আমাদের কাছে মনে হয়। তারপরেও উভয়কে বসে বিষয়টি সামাজিকভাবে মিমাংসা করার জন্য বলা হয়েছে।