১১ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

শক্তি সম্প্রসারণে তৈরি সৌদি আরব

নি:সন্দেহে বদলে যাচ্ছে। ঐতিহাসিকভাবে তেল সমৃদ্ধ এই দেশ অভ্যন্তরীণ স্থিতিশীলতার স্বার্থে সরাসরি কোথাও নাক গলানো থেকে বিরত থেকেছে এতিদন। কিন্তু তেলসমৃদ্ধ এই রাজতন্ত্র এখন স্পষ্টতই বহুদিনের সেই কৌশল থেকে সরে এসে নিজের শক্তি প্রদর্শনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বেশ কিছু অজানা ঝুঁকি নিতেও তারা পিছপা হচ্ছেনা।

প্রতিবেশী ইয়েমেনে সৌদি আরব গত চার মাসের বেশি সময় ধরে হুতি বিদ্রোহীদের সঙ্গে যুদ্ধে লিপ্ত। সিরিয়াতে প্রেসিডেন্ট বাশার বিরোধী ইসলামপন্থি জঙ্গি গোষ্ঠীগুলোকে প্রতি নাটকীয়ভাবে সাহায্য বাড়িয়েছে সৌদি আরব। ইরান প্রসঙ্গে সৌদি সরকার পশ্চিমের দেশগুলিকে বার্তা দিয়েছে, যদি তারা নিশ্চিত হয় তেহরান পারমানবিক বোমা বানাতে সমর্থ হয়েছে, সৌদি আরবও ওই পথে যেতে দ্বিধা করবে না।

কেন কৌশলে এই পরিবর্তন? বিবিসির তাদের এক প্রতিবেদনে দাবি করেছে,  সৌদি শাসকদের মনে এমন ধারণা তৈরি হয়েছে, যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাদের স্বার্থ দেখছে না। এবং এই ধারনা থেকেই সৌদি রাজপরিবারের সদস্যরা এবং নীতি নির্ধারকরা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা নিজেরাই নিজেদের মত কাজ করবেন।

পাশাপাশি সৌদি আরবের অন্দরে ভয় ঢুকেছে ইরানে তাদের সামরিকভাবে ঘিরে ফেলছে এবং এখনই পাল্টা জবাব দিতে হবে। সৌদি বিমান হামলায় গত চার মাসে ইয়েমেনে কয়েক হাজার মানুষ মারা গিয়েছে। ইয়েমেনে বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে চার মাস ধরে চলছে সৌদি বিমান হামলা। আন্তর্জাতিক সম্পর্কের বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সৌদি আরবের এই কৌশলের পরিণতি খুব খারাপ হবে।

Share on facebook
Share on twitter
Share on whatsapp
Share on print

মন্তব্য করুন

সর্বশেষ সংবাদ