
হাজার চেষ্টাতেও সংঘর্ষ থামছে না। এর মধ্যে রাষ্ট্রসংঘের সমর্থিত সরকারের প্রধানমন্ত্রী আবদুল্লা আল-থানি টেলিভিশন টক শোতে গিয়ে পদত্যাগ করলেন। এমনকী আগামী রবিবারের মধ্যে তাঁর পদত্যাগপত্র সরকারের কাছেও পাঠিয়ে দেওয়া হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।
মঙ্গলবার লিবিয়ার এক নিউজ চ্যানেলের টক শোতে যান আল-থানি। সেখানেই তাঁর সরকারের বিরুদ্ধে সঞ্চালক প্রশ্ন তোলেন, আপনার সরকারের বিরুদ্ধে মানুষের ন্যূনতম চাহিদা মেটাতে না পারার অভিযোগ রয়েছে। আপনি কী বলবেন? প্রশ্ন শুনেই খেপে যান আল-থানি। বলেন, আমি সরকারে থাকতে চাই না। এই মুহূর্তে পদত্যাগ করছি।
২০১১ সালে মুয়াম্মর গদ্দাফির মৃত্যুর পর থেকেই গৃহযুদ্ধ বেধেছে লিবিয়ায়। রাষ্ট্রসংঘ সমর্থিত সরকার ছাড়াও সেদেশে সমান্তরাল সরকার চালাচ্ছে অন্তত আরও তিনটি পরস্পর-বিরোধী রাজনৈতিক শক্তি। বর্তমানে লিবিয়ার পূর্ব দিকে ভূমধ্যসাগরীয় বন্দর বেনগাজি থেকে মিশর সীমান্ত লাগোয়া অংশে আল-থানির সরকার শাসন চালায়। তাদের নিয়ন্ত্রণেই সেদেশের সব থেকে বড় অংশটি রয়েছে৷তবে সেখানেও লেগে রয়েছে জনঅসন্তোষ। লিবিয়ার মূল রাজধানী ত্রিপোলির নিয়ন্ত্রণ কার্যত চলে গিয়েছে কট্টর মুসলিমপন্থী মিলিশিয়ার হাতে৷ লিবিয়ায় নিযুক্ত রাষ্ট্রসংঘের দূত বার্নান্দিনো লিয়ন জেনেভায় শান্তি ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে বৈঠক করেছেন। তার পরেও শান্তি ফেরেনি গৃহযুদ্ধে দীর্ণ দেশটির।
পোস্টটি যতজন পড়েছেন : ৮২