লিপস্টিকের ডগা জানাবে নারীর চরিত্র কেমন। লিপস্টিক দেখে নারীর চরিত্র বিচার! এই সংযোজন নতুন। একদল মনোবিদের মত, লিপস্টিকের ডগার আকারই নাকি বলে দেয় নারীর চরিত্র কেমন। “নারী বেজায় জটিল” বলে দিনরাত অপবাদ দেন যাঁরা, তাঁরা কিন্তু এবার অনায়াসেই নারীকে চিনে নিতে পারবেন লিপস্টিকের ডগা দেখে। তা হলে চলুন, জেনে নিই লিপস্টিকের ডগা কী বলছে –
১.লিপস্টিকের ডগা যদি হয় গোল ও ছুঁচলো
– দীর্ঘদিন ব্যবহার করতে করতে লিপস্টিকের ডগা যদি গোল ও ছুঁচলো আকার ধারণ করে, জানবেন সেই লিপস্টিক ব্যবহারকারিণী মনের দিক থেকে পরিষ্কার। ভিতরকার অনুভূতি নিয়ে কোনওরকম দোনামোনা চলে না তার মনে। কোনও পুরুষকে পছন্দ হলে, আবেগে ঘাটতি হয় না। সে স্পষ্টবত্তা। সে পরোপকারী। অন্যের সমস্যায় সবার আগে হাজির হয় সে।
২.লিপস্টিকের ডগা সমতল
– এই নারী হাসিখুশি। মজার মজার কথা বলে সকলকে হাসাতে পারে। মাথায় খুব বুদ্ধি। কোনও রকম ক্লান্তিকর পরিস্থিতি এড়িয়ে যেতে পছন্দ করে সে। এমন নারীর চরিত্রের কিন্তু একটা নেতিবাচক দিকও আছে। কেউ যদি তার মতামতের সঙ্গে একমত না হয়, অসম্ভব অসন্তুষ্ট হয়।
৩. লিপস্টিকের ডগা গোল ও ভোঁতা
– এই নারীর কাছে তার বাড়ির সবচেয়ে প্রিয় জায়গা হল বসার ঘর। বসার ঘরের প্রতি বিশেষ যত্নবান সে। বারবার পরিষ্কার করে, নানাভাবে সাজায়। বসার ঘরকে এত পছন্দ হওয়ার কারণ, সে চায় বাড়িতে ঘনঘন অতিথি আসুক। শুধু তাই নয়, সে চায় অতিথিরা সেই সাজানো গোছানো বসার ঘর দেখে প্রশংসা করুক। এই ধরনের নারী কিন্তু পরিবারের সদস্যদের তোলা তোলা করে রাখে। অন্যদিকে এই নারী রুচিশীল, শিল্পকলায় পারদর্শী। তার গান শুনতে ভালো লাগে। গানের গলাটিও তার মন্দ নয়। হাতের লেখা সুন্দর। হাতে লেখাও আছে ভরপুর। সুন্দর ছন্দ মিলিয়ে কবিতা লিখতে পারে। ডায়ারিতে রোজকার কথা লিখে রাখে। গল্পের বই পড়তে ভালোবাসে। শান্ত প্রকৃতির মানুষ। এই নারীর বন্ধু বলতে মা।
৪. লিপস্টিকের ডগা অর্ধেক চাঁদের মতো
– বিদ্রোহী নারী। ছোটো থেকেই ভিত্তিহীন রীতিনীতিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে এসেছে সে। কিন্তু সত্যি বলতে কী, এই নারী কিন্তু মনের দিক থেকে পরিষ্কার। কারোর মনে দুঃখ দেয় না। সেই কারণেই তাকে সকলে পছন্দ করে।
৫.লিপস্টিকের ডগা যদি হয় অতিরিক্ত ছুঁচলো
– এই নারী স্মার্ট ও সেক্সি। দারুণ ভালো ফ্লার্ট করতে জানে। সেই কারণে বহু পুরুষ তার দিকে আকৃষ্ট। ট্রেকিংয়ে যেতে পছন্দ করে সে। জঙ্গল ও পাহাড় তার সবচেয়ে প্রিয় জায়গা।
৬.লিপস্টিকের ডগা যদি হয় তির্যক বা ডায়াগোনাল
– অপরের মন মাতানোর সহজাত গুণ আছে এই নারীর মধ্যে। সে কিন্তু খুব উচ্চাকাঙ্খী, ক্যারিয়ারিস্ট। ছোটো থেকেই স্কুল, কলেজে লিডার। কর্মস্থলেও সে-ই লিডার। এই নারী আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে ওঠে সহজেই। সে না থাকলে শূন্য লাগে চারপাশ।