বুলগেরিয়ায় গ্লোবাল ওমেন লিডারস ফোরামে যোগ দিতে আগামী ১৮ মে শেখ হাসিনা সফিয়া যাবেন। এ ফোরামে নারীর ক্ষমতায়ন ও লিঙ্গীয় সমতার দিক নিয়ে আলোচনা হবে। তবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামীকাল রোববার যুক্তরাজ্য সফরে আসছেন। এই ব্যক্তিগত সফরে প্রধানমন্ত্রী তার বোন শেখ রেহানা ও তার মেয়ে ব্রিটিশ এমপি টিউলিপ সিদ্দিকির সঙ্গে সময় কাটাবেন বলে জানা গেছে।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় সূত্র জানায়, রোববার সকালে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি বিশেষ ফ্লাইটে করে লন্ডনের উদ্দেশে রওয়ানা হবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সব শেষে ২১ মে ঢাকা পৌঁছানোর কথা রয়েছে তার।
এদিকে যুক্তরাজ্যের একাধিক বিএনপি নেতা অভিযোগ করেছেন শেখ হসিনার সফরকে কেন্দ্র করে এবার বাংলাদেশে অবস্থানরত স্বজনদের ফোন করে হয়রানি করছে সরকারি গোয়েন্দা সংস্থাগুলো। এ হয়রানি থেকে বাদ যাচ্ছে না সাংবাদিক, লেখক, অনলাইন একটিভিস্টদের স্বজনরাও। আর এ কারণে আতঙ্কে রয়েছেন প্রবাসী বিএনপি নেতারা।
সবচেয়ে বেশি আতঙ্কে রয়েছেন যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি এম এ মালেক, সাধারণ সম্পাদক কয়সর এম আহমেদ, স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় আন্তর্জাতিক সম্পাদক পারভেজ মল্লিক, বিএনপি নেতা শাহিন আহমেদ, সাংবাদিক শামসুল আলম লিটন, নুরে আলম, অলিউল্লা নোমান, মুসফিক ফযল আনসারই, মাহবুব আলী খানশূর, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ফরিদুল ইসলাম, ছাত্রনেতা হাসিবুল হাসান, মানবাধিকার কর্মী তরিকুল ইসলাম, মাহবুব আলম তোহা, আমিনুল ইসলাম, শরফুজ্জামান শরফু, আব্দুল মতিন প্রমুখ। তবে যুক্তরাজ্য বিএনপি সভাপতি এম এ মালেক গত বৃহস্পতিবার পূর্ব লন্ডনে এক সমাবেশে শেখ হাসিনাকে প্রতিহত করার ঘোষণা দেন।
প্রধানমন্ত্রীর সফরকে কেন্দ্র করে যুক্তরাজ্য ইতোমধ্যে কয়েকটি প্রস্তুতি সভাও করেছে। প্রধানমন্ত্রীর এই সফরে বিএনপি নেতাকর্মীরা হোটেল এবং কর্মসূচিস্থলের বাইরে কালপতাকা প্রদর্শন ও বিক্ষোভ করবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আর এসব মনিটর করছেন লন্ডনে অবস্থানরত বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তার পরামর্শেই এসব করা হচ্ছে বলে বিএনপির একাধিক নেতা জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে এম এ মালেক বলেন, ‘গণতন্ত্র হত্যাকারী শেখ হাসিনাকে গণতন্ত্রের পাদপীঠ যুক্তরাজ্যের মাটিতে পা রাখতে দিতে চাই না। এ বিষয়ে যুক্তরাজ্যের সরকারের কাছে আহ্বান জানিয়েছি শেখ হাসিনাকে না বলুন। বরাবরের মতো আমরা লন্ডনের মাটিতে শেখ হাসিনাকে প্রতিরোধ করবো।’
তিনি আরো বলেন, ‘হিথরো এয়ারপোর্ট থেকে শুরু করে লন্ডনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিটি অনুষ্ঠানে কালোপতাকা প্রদর্শন করা হবে। যেখানেই শেখ হাসিনা যাবেন সেখানেই প্রতিরোধের মাধ্যমে দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলার ব্যর্থ চিত্র তুলে ধরা হবে।’
সাধারণ সম্পাদক কয়সর এম আহমেদ বলেন ‘শেখ হাসিনাকে আমরা বারবারই প্রতিহত করেছি। কিন্তু এবার বাংলাদেশে অবস্থানরত আমাদের নেতাকর্মীদের আত্মীয়স্বজন ও পরিবারের সদস্যদের হুমকি দেয়া হচ্ছে, যাতে আমরা লন্ডনে বিক্ষোভ না করি।’