বাড়ির জন্য মন কাঁদছিল অনূর্ধ্ব-১৯ দলের সবার। কখন বাড়ি ফিরে স্বজনদের সঙ্গে কথা বলবেন, সেটিরই ছিল অপেক্ষা। শরিফুল ইসলামের অপেক্ষার প্রহর ছিল সবচেয়ে বেশি। বাড়ি তার সেই পঞ্চগড়, উত্তরাঞ্চলের শেষসীমায়। যদিও বিমানে সৈয়দপুর পর্যন্ত যেতে পারায় খুব বেশি সময় লাগেনি।
শরিফুলের গ্রামের বাড়ি পঞ্চগড় জেলার দেবীগঞ্জ উপজেলার মৌমারী নগরডাঙ্গায়। আজ (বৃহস্পতিবার) বাড়িতে পৌঁছাতে পৌঁছাতে বিকেল হয়ে যায় এই পেসারের। তাকে বরণ করতে আগে থেকেই সেরে রাখা হয়েছিল প্রস্তুতি। ছিল ব্যান্ডপার্টির ব্যবস্থাও।
মিষ্টিমুখ করিয়ে স্বাগত জানানো হয় দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে যুব বিশ্বকাপ জিতে ফেরা তরুণ বাঁহাতি পেসারকে। তার বাড়িতে উৎসব শুরু হয়ে গিয়েছিল কিন্তু সেই ৯ ফেব্রুয়ারি থেকেই, যখন ভারতকে ডার্কওয়ার্থ-লুইসে ৩ উইকেটে হারিয়ে বিশ্বকাপ জিতে নিয়েছে বাংলাদেশ। সেটির মাত্রা আরও বেড়েছে শরিফুল বাড়ি ফেরায়।
জীবনের স্মরণীয় সব দিন কাটানো শরীফুল এখনও ঘোর কাটিয়ে উঠতে পারেননি।তবে নিজের লক্ষ্যে তিনি অবিচল, ‘বাবা-মা, আত্মীয়-স্বজন এবং দেশবাসীর দোয়া ও ভালোবাসায় এতদূর এসেছি। ভবিষ্যতে জাতীয় দলে খেলতে চাই। ভালো ক্রিকেট খেলে এলাকা ও দেশকে এগিয়ে নিতে চাই।’