২০শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

মানিকছড়িতে প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে ব্যাপক অনিয়ম র্দূনীতির অভিযোগ

ইউসুফ পাটায়ারী: খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি উপজেলায় প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে ব্যাপক অনিয়ম র্দূনীতির অভিযোগ উঠেছে। জানাযায়, মানিকছড়ি উপজেলায় সর্ব মোট ৪৭টি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে টিও, এটিও, নানা অযুহাতে প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকগনকে হয়রানীর করে আসছে। বিদ্যালয়ের নামে বিভিন্ন সময় আসা বরাদ্ধ থেকে কেটে নেওয়া হচ্ছে টিও, এটিওর নামে কমিশন।

     অবিযোগ রয়েছে, মানিকছড়ি উপজেলায় বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নামে ক্ষুদ্র মেরামত প্রকল্পের আওতায় সর্ব মোট ১৫টি স্কুলের নামের বরাদ্ধের টাকা হতে ৯৯ হাজার টাকা কমিশন কেটেনিল টিও, এটিও। জানাযায়, যোগ্যাছোলা, পান্নার্কাবারী, ওয়াকছড়ি, মলঙ্গীপাড়া, ওসমানপল্লী, মরাডলু, মংসী র্কাবারীপাড়া, ২০ হাজার টাকা করে বরাদ্ধ হয়। এছাড়াও গাড়ীটানা, ফকিরনালা, বড়বিল, চেম্প্রপাড়া, ভদংপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নামে ৩০ হাজার টাকা করে বরাদ্ধ আসলেও এতে টিও, এটিওর নামে ৫ হাজার টাকা করে কমিশন কর্তন করে শিক্ষা অফিস।

     অন্যদিকে সদ্য নব নির্মিত প্রাথমিক বিদ্যালয় সাপুড়িয়াপাড়া, কুমারী বড়টিলা, মংসুইভুয়াং পাড়া ৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নামে ৩০হাজার টাকা করে বরাদ্ধ হলেও প্রতিটি বিদ্যালয় থেকে মানিকছড়ি প্রাথকিম বিদ্যালয়নের নামে কমিশন কাটা হয় ৮ হাজার টাকা করে। এই ব্যাপারে কুমারী বড়টিলা বিদ্যালয় সভাপতি আব্দুল জব্বার অভিযোগ করেন, কোথাও কমিশনের কথা উল্লেখ নাই। এরপরও ৮ হাজার টাকা করে কেটে নিলেন শিক্ষা অফিস। সাপুরিয়াপাড়া সভাপতি আবুল কালাম বলেন র্দূনীতির আতুরে ঘর হলো মানিকছড়ি শিক্ষা অফিস। আমাদের স্কুলেন নামে বরাদ্ধের ৩০ হাজার টাকার মধ্যে ৮ হাজার টাকা করে এটিও কে দিতে হয়েছে। কিসের টাকা জিজ্ঞাস করা হলে এটিও বলেন টিও স্যারের কমশিন। বড়বিল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি কংজপ্রু মারমা বলেন মনের ইচ্ছা মানিকছড়ি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষা অফিস মেরামতে বরাদ্ধের নামের টাকা হইতে সরকারী ভ্যাট কর্তন করার পর ৮হাজার টাকা করে কমিশন কর্তন করেন। শিক্ষখাতে র্দূনীতি সহ্য করার মত না।

     অপরদিকে মানিকছড়ি উপজেলার এটিওর বিরোদ্ধে অনেক শিক্ষক চাপা ক্ষোভ নিয়ে বলেন এটিও স্যারের অধিনে মানিকছড়িও বাটনাতলী ২ ইউনিয়ন প্রাথমিক বিদ্যালয় সাব-ক্লাষ্টার মোট ১২০জন শিক্ষক রয়েছেন। মাসিক ক্লাষ্টারের ২৪০টাকা হারে প্রতি শিক্ষকের জন্য বরাদ্ধ থাকলেও শিক্ষকরা পাচ্ছে মাত্র ১৫ টাকার খাতা-কলম। টিপিন খরছ স্যারের পেটে বলে প্রতিবাদ কণ্ঠে অনেক শিক্ষক অভিযোগ করেন। আরো বলেন জোরালো প্রতিবাদ করলে গহীন জঙ্গল স্কুলগুলোতে পাঠিয়ে দিবে।

     এসব বিষয়ে মানিকছড়ি উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার জিতেন কুমার সেনের সাথে প্রতিনিধির র্দুনীতির ব্যাপারে ও তাহার নামে কমিশনের ব্যাপারে  জানতে চাইলে তিনি আর্থনিউজ২৪-কে  জানান আমি এইসব বিষয় কিছুই জানিনা। আমার নামে যদি কেউ কমিশন নিয়ে থাকে এইটা তার ব্যাপার তবে আমি আরো খোজ খবর নিয়ে দেখছি। তবে অভিযোগটি মিথ্যা। আমাদের অফিসে কেউ কোন প্রকার টাকা পয়সা কমিশন নেন না।

     আর এটিও সুভাষিশ বড়ুয়া থেকে বরাদ্ধের টাকা হইতে কমিশন ও ক্লাষ্টারের টাকা হইতে কর্তন করার ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি আপনাকে কমিশনের টাকা কথাই বলতে রাজি না আমার কর্তৃপক্ষ আছে উনাকে আমাকে জিজ্ঞাস করেন। আমার র্দূনীতি থাকলে আমার কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নিবেন। কমিশন কাটার ক্ষমতা আমাকে সরকার দেয় নাই। আমার টিও আছেন আপনি স্যারের সাথে কথা বলেন।

     অন্যদিকে এটিও সুভাষ বড়ুয়ার বিরোদ্ধে আনা অভিযোগের ব্যাপারে জানান অহেতুক অভিযোগ করনে এই রকম কোন টাকা-পয়সা কমিশন আমাদের অফিসে কর্তন করা হয় না।

পার্বত্য জেলা প্রতিনিধিঃ  

আর্থনিউজ২৪/সাঃ

Share on facebook
Share on twitter
Share on whatsapp
Share on print

মন্তব্য করুন

সর্বশেষ সংবাদ