উপকূলীয় দ্বীপজেলা ভোলার মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদী উত্তাল হয়ে ওঠেছে। ঘূর্ণিঝড় রোয়ানুর প্রভাবে এর প্রভাবে শুক্রবার সকাল থেকে দিনভর বৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে।
রোদের দেখা মেলেনি আজও।
এ নিয়ে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যাপক সতর্কতামূলক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে ভোলার জেলা প্রশাসক মো. সেলিম উদ্দিন জানান, ঘুর্ণিঝড় রোয়ানু মোকাবিলায় জেলা প্রশাসন সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে। তিনি আরো বলেন, জেলার সাত উপজেলায় জরুরি সভা করা হয়েছে। প্রত্যেক ইউএনওকে সতর্কতামূলক নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সব ইউনিয়নের চেয়ারম্যানদেরও অবহিত করা হয়েছে। ট্রলারের মালিকদের নিরাপদে থাকতে বলা হয়েছে। জেলা সদর ও সব উপজেলায় একটি করে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। সব ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্রগুলোকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ১০ হাজার দুই শ কর্মী বাহিনীকে মাঠে নেমে এ বিষয়ে প্রচার করে সতর্ক করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যাতে মানুষ ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে দ্রুত আশ্রয় নিতে পারে।
সতর্কতা হিসেবে এনজিও কোস্ট ট্রাস্টের কর্মকর্তাদেরকেও প্রচারের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া আনসার, পুলিশ ও কোস্ট গার্ড সদস্যদের প্রস্তুত রাখা হয়েছে। বিশেষ করে কোস্ট গার্ডের নৌযানকে প্রস্তত রাখা হয়েছে। বন বিভাগকে বলা হয়েছে বাতাসে গাছ উপড়ে পড়লে সঙ্গে সঙ্গে তা যেন সরিয়ে রাখা হয়। সাগর ও নদনদীতে ছোট ছোট নৌযানে চলাচল না করার জন্য জনগণকে অবহিত করা হচ্ছে। এ ছাড়া ৯২টি মেডিক্যাল টিম গঠন করা হয়েছে। তাদের যানবাহনকেও প্রস্তত রাখতে বলা হয়েছে।
এদিকে সরকারের পক্ষ থেকে নগদ টাকা, চাল, গুড়-মুড়িসহ শুকনো খাবার তৈরি রাখা হয়েছে। যাতে আপদকালীন সময়ে সঠিকভাবে দেওয়া যায়।