[english_date]

রোহিঙ্গা হত্যাকান্ডের দায় মিয়ানমার সেনাবাহিনীর পরে সরকারও নিল

আর্থনিউজ ডেস্ক:

শুক্রবার মিয়ানমারের নিপিধো’তে জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী তারো কোনোর সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে সু চিকে সেনাবাহিনীর অপকর্মের ওই বিরল স্বীকারোক্তির ব্যাপারে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, “বিষয়টি তদন্ত করা হয়েছে। এর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”
ফেইসবুক পাতায় এক পোস্টে সু চি আরো বলেন, “আমাদের দেশের জন্য এ এক নতুন ধাপ। আমি বিষয়টিকে এভাবেই দেখি। কারণ, দেশে আইনের শাসনের জন্য একটি দেশের দায় নেওয়াটা জরুরি। আর সেই দায় নেওয়ার পথে এটিই হচ্ছে প্রথম পদক্ষেপ। এটি একটি ইতিবাচক ব্যাপার।”
মিয়ানমারের সেনাবাহিনী প্রথমবারের মত রোহিঙ্গা হত্যাকাণ্ডের স্বীকারোক্তি দেওয়ার পর একে ইতিবাচক বলেও মন্তব্য করেছেন দেশটির নেত্রী অং সান সু চি। তিনি বলেন, সেনাবাহিনী তাদের সেনা সদস্যদের কর্মকান্ডের দায় নিচ্ছে।
রোহিঙ্গাদের উপর নিপীড়ন-নির্যাতনের অভিযোগ অস্বীকার করে আসা মিয়ানমার সেনাবাহিনী গত বুধবার কথিত সন্ত্রাস দমন অভিযানে ১০ রোহিঙ্গাকে ধরার পর হত্যার কথা স্বীকার করে।
মিয়ানমারের সেনাপ্রধান মিন অং হ্লাইংয়ের ফেইসবুক অ্যাকাউন্টে এক বিবৃতিতে “স্থানীয় বৌদ্ধ ও সেনা সদস্যরা ওই হত্যাকাণ্ড ঘটায়” জানিয়ে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়।
গত ২৪ অগাস্ট রাতে একযোগে মিয়ানমার পুলিশের ৩০টি তল্লাশি চৌকি ও একটি সেনা ঘাঁটিতে হামলার পর ব্যাপক অভিযান শুরু করেছিল মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। সেখানে নির্বিচারে হত্যা, ধর্ষণ, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের মুখে ঘর-বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে আসতে শুরু করে রোহিঙ্গারা, পরে চার মাসে সাড়ে ছয় লাখের বেশি মানুষ বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নিয়েছে।

ওই অভিযানকে ‘জাতিগত নির্মূল অভিযান’ হিসেবে বর্ণনা করে এসেছে জাতিসংঘ। অভিযানে এক মাসেই ৬ হাজার ৭০০ মানুষকে হত্যা করা হয় বলে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন মেদসঁ সঁ ফ্রঁতিয়ের এক প্রতিবেদনে বলা হয়।

Share on facebook
Share on twitter
Share on whatsapp
Share on print

মন্তব্য করুন

সর্বশেষ সংবাদ