ঈদে ঘরমুখো মানুষের বাড়তি চাপ সামাল দিতে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলে এবার কমপক্ষে পাঁচ জোড়া বিশেষ ট্রেনের পাশাপাশি নিয়মিত ট্রেনগুলোতে ৮৬টি নতুন কোচ সংযোজন করতে যাচ্ছে। এছাড়া বর্ষা মৌসুম হওয়ায় ট্রেনের ছাদে যাত্রী পরিবহনের কঠোর নজরদারির পাশাপাশি রেললাইনে থাকবে বিশেষ পেট্রোলিংয়ের ব্যবস্থা। তবে ব্যাপক চাহিদা থাকা স্বত্বেও এবারও ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে থাকছে না বাড়তি কোনো ট্রেন। আরামদায়ক ও নিরাপদ হওয়ায় দূরপাল্লার যাত্রীদের কাছে ভ্রমণের ক্ষেত্রে প্রথম পছন্দ ট্রেন। কিন্তু সাধারণ সময়ে ট্রেনে আসন পাওয়া মুশকিল হয়ে যায়। আর ঈদ উপলক্ষে যাত্রী চাপ বেড়ে যায় কয়েকগুণ।
এসময় ট্রেনের জানালা, দরজায় এমনকি ছাদেও যাত্রী ধারণে তিল পরিমাণ ঠাঁই থাকে না। আর ঈদে এ অতিরিক্ত যাত্রী চাপ সামলাতে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ চট্টগ্রাম-চাঁদপুরে ২ জোড়া, ঢাকা-দেওয়ানগঞ্জ, ঢাকা-পার্বতীপুর এবং ঢাকা-খুলনা রুটে একটি করে বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করছে। এছাড়া অন্যান্য রুটে চলাচলকারী ট্রেনের জন্য থাকছে ৮৬টি নতুন কোচ। এ ব্যাপারে বাংলাদেশ রেলওয়ের (পূর্বাঞ্চল) এর মহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক বলেন, নিরাপত্তা ব্যবস্থা থেকে শুরু করে পাঁচ জোড়া বিশেষ ট্রেন এবং ৮৬ টি নতুন কোচ যুক্ত হবে। এদিকে বর্ষা মৌসুম হওয়ায় ট্রেনের ছাদে যাত্রী পরিবহনের কঠোর নজরদারির পাশাপাশি ট্রেন লাইনে পেট্রোলিংয়ের বিশেষ ব্যবস্থা থাকবে বলে জানান রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের এ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।
অন্যদিকে ঈদে যাত্রীদের নিরাপত্তায় ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে বলে জানিয়েছেন রেলওয়ে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম। রেলের পূর্বাঞ্চল বছরে আড়াই কোটির বেশি যাত্রী পরিবহন করে। এর মধ্যে শুধুমাত্র ঈদের সময় যাত্রী সংখ্যা থাকে অন্তত ৫ লাখ। আগামী ৯ জুলাই থেকে শুরু হবে ঈদের অগ্রিম টিকেট বিক্রি।