[english_date]

রামগড়ে ডাকাত আতংক, এলাকাবাসীর রাত জেগে পাহারা, পুলিশ টহল বৃদ্ধি

মো: নিজাম উদ্দিন, রামগড় (খাগড়াছড়ি) প্রতিনিধিঃ
জেলার রামগড় পৌরসভা ও আশপাশের এলাকায় হঠাৎ ডাকাতদলের উৎপাতে আতংকিত হয়ে পড়ছে মানুষ। রামগড়ের লামকুপাড়া, খাগড়াবিল, বলিপাড়া, নজিরটিলা, সদু কার্বারীপাড়া ও ফেনীর কুল এলাকার বাসিন্ধারা সবচেয়ে বেশী ডাকাত আতংকে ভূগছে কয়েকদিন যাবত। এসব এলাকায় গত কিছুদিনের মধ্যে তিনটি বাড়ীতে ডাকাতি, ৫/৬টি বাড়ীতে ডাকাতির চেষ্টা ও একজন যুবতি মেয়েকে শ্লীলতাহানীর ঘটনায় আতংক বেড়ে গেছে।
বার বার ডাকাতির ঘটনায় আতংকিত এলাকাবাসী রাত জেগে পাহারা দিচ্ছেন এবং জোরদার করা হয়েছে পুলিশের তল্লাশি ও বৃদ্ধি করা হয়েছে টহল।

স্থানিয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত ২৭ সেপ্টেম্বর রাত ২ টায় পৌরসভার শালবাগান এলাকার পাশ্ববর্তী বাগানবাজার ইউনিয়নের হাজিপাড়ায় জনৈক তোফাজ্জলের বাড়িতে ডাকাতি ও শ্লীলতাহানীর চেষ্টা করে ডাকাত দল। একই রাতে সাড়ে ৩টার দিকে পৌরসভার দক্ষিণ সদুকার্বারী পাড়ার আবুল কালামের বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এর আগে হাজিপাড়া এলাকায় দ্বীন মোহাম্মদের মুদি দোকানের নগদ টাকা ও মালামাল লুটের ঘটনা ঘটে। এসব ঘটনার দুইদিন পর পাশ্ববর্তী ফেনীরকুল এলাকার প্রবাসীর স্ত্রী ফেরদৌসের বাড়িতে ডাকাতি সংঘটিত হয়। ঠিক ঐ দিন রাতে পাশ^বর্তী নজিরটিলার একটি বাড়িতে এবং মঙ্গলবার বলিপাড়ার মোহাম্মদ উল্যাহর বাড়িতে ডাকাতির চেষ্টা করে ডাকাত দল। সর্বশেষ বুধবার রাত ১টায় দক্ষিন সদু কার্বারীপাড়ার গোলাম রহমান ও রেজাউলের বাড়ীতে ঢুকার চেষ্টা চালায় ডাকাত দল, তারা ঘরের দরজা ভাঙ্গার চেষ্টা করলে স্থানীয় মসজিদের মাইকে ডাকাত দলের খবরটি প্রচার হলে লোকজন আসায় ডাকাতরা পালিয়ে যায়।

ক্ষতিগ্রস্থরা জানান,, ডাকাত দল প্রথমে কৌশলে ঘরের দরজা ভেঙ্গে প্রবেশ করে ধারালো চাপাতি, চাকু, ছুরি ও লোহার রডসহ দেশীয় অস্ত্রের মুখে সবাইকে জিম্মি করে হাত, পা, চোঁখ বেঁধে মারধর করে স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ টাকা নিয়ে যায়। কোথাও কোথাও ঘরের শিশু সন্তানদের গলায় চাকু ধরে অন্যদের দূর্বল করে মালামাল নিয়ে নেয়। তাঁরা আরো জানায় ডাকাত দলে ১০/১২জন সদস্য থাকলেও কয়েকজন মুখোশ পড়ে থাকে। এদের বয়স আনুমানিক ২০-৩৫ বছরের মধ্যে বলে তাঁরা জানান।

পৌর কাউন্সিলর সাহাব উদ্দিন জানান, হঠাৎ ডাকাতের উৎপাতে গ্রামবাসী আতংকৃত। এ ব্যাপারে প্রশাসনকে তড়িৎ ব্যবস্থা গ্রহনের অনুরোধ করা হয়েছে। তাছাড়া রাত জেগে গ্রামবাসী পাহারা দিচ্ছেন।
রামগড় উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি মো: শাহআলম বলেন, রামগড়ে মাদক বেড়ে যাওয়ায় মাদকাসক্ত ব্যাক্তিরা ঘটনাগুলো ঘটাতে পারে বলে তিনি মনে করেন। তিনি সর্বোচ্চ আগ্রাধীকারে বিষয়টি দেখতে প্রশাসনকে অনুরোধ করেন।

রামগড় থানার অফিসার ইনচার্জ মো: শরিফুল ইসলাম জানান, ডাকাতির খবর শুনে ভিকটিমদের বাড়িতে গিয়ে খোঁজ খবর নিয়েছি। প্রথম ঘটনাটির পর থেকে আমি নিজে পুলিশের একটি দলনিয়ে প্রতিদিন রাতে সন্দেহ জনক স্থানে ব্যক্তি ও যানবাহন তল্লাশি করছি ও বিভিন্নস্থানে টহল বৃদ্ধি করা হয়েছে। এছাড়া যতদ্রুত সম্ভব ডাকাত দলটিকে সনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হবে বলে তিনি জানান।

Share on facebook
Share on twitter
Share on whatsapp
Share on print

মন্তব্য করুন

সর্বশেষ সংবাদ