ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের সিংহাসনে সবচেয়ে দীর্ঘ সময় ধরে আসীন ও বিশ্বের প্রবীনতম রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের অসুস্থতার সংবাদে উদ্বেগ জানিয়েছেন দেশটির প্রধামন্ত্রী লিজ ট্রাসসহ অন্যান্য শীর্ষ রাজনীতিক ও সরকারি কর্মকর্তারা।
যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাস এক বার্তায় বলেন, ‘এই মুহূর্তে (রানির অসুস্থতা সম্পর্কে) বাকিংহাম প্যালেস থেকে কি খবর আসে— তা নিয়ে পুরো দেশ উদ্বিগ্ন। আমি কেবল বলব, যুক্তরাজ্যজুড়ে আমরা সবাই মহামান্য রানী ও তার পরিবারের সঙ্গে আছি।’
ব্রিটিশ পার্লামেন্টের বিরোধী দলীয় নেতা কিয়ার স্টারমার বলেন, ‘বাকিংহাম প্যালেস থেকে রানির অসুস্থতার খবর জানানোর পর দেশের অন্যান্যদের মতো আমিও গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। এই মুহূর্তে মানসিকভাবে আমি মহামান্য রানি ও তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে আছি এবং অন্যান্য দেশবাসীর মতো তার সুস্থতার প্রার্থনা করছি।’
স্কটল্যান্ডের মুখ্যমন্ত্রী নিকোলা স্টারজিওন এক বার্তায় বলেন, ‘মহামান্য রানির শারীরিক অবস্থা নিয়ে আমরা সবাই গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। প্রার্থনা করছি, সব সমস্যা যেন কেটে যায়।’
যুক্তরাজ্যের প্রধান গির্জা ক্যান্টারবেরি চার্চের প্রধান ধর্মযাজক (আর্চবিশপ) জাস্টিন ওয়েলবি বলেন, ‘আজ আমার ও যুক্তরাজ্যের সব মানুষের প্রার্থনা রানির জন্য। ঈশ্বর মহামান্য রানী, তার পরিবার ও বালমোরালে যারা রানীকে সেবা করছেন, সবার মঙ্গল করুন।’
ব্রিটেনের পার্লমেন্ট হাউস অব কমন্সের স্পিকার লিন্ডসে হোয়লি বলেন, ‘পার্লামেন্টের স্পিকার হিসেবে হাউসের সব জনপ্রতিনিধির পক্ষ থেকে আমি মহামান্য রানির সুস্থতা কামনা করছি।’
গত কয়েক মাস ধরে স্কটল্যান্ডের বালমোরাল প্রাসাদে দিনযাপন করছেন রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ। বৃহস্পতিবার রাজধানী লন্ডনে রাজপরিবারের প্রাসাদ বাকিংহাম প্যালেস থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে জানানো হয়, রানি ২য় এলিজাবেথের স্বাস্থ্যের অবনতি হয়েছে এবং বালমোরাল প্রাসাদে চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে রাখা হয়েছে তাকে।
৯৬ বছর বয়স্ক রানির অসুস্থতার এই সংবাদে দেশে বিদেশ ছড়িয়ে থাকা তার সন্তান ও নাতি-নাতনিদের অনেকেই ইতোমধ্যে স্কটল্যান্ডে পৌঁছে গেছেন, বাকিরা রয়েছেন যাত্রাপথে।
বালমোরাল প্রাসাদের আশপাশেও জড়ো হয়েছেন শতাধিক সাধারণ মানুষ। তারা সবাই রানীর শারীরিক অবস্থা নিয়ে উদ্বিগ্ন।