
শিশু সামিউল আলম রাজনকে বলাৎকার করতে না পেরে চোর সাজিয়ে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সিলেটে শিশু সামিউল আলম রাজনকে নির্যাতনের প্রত্যক্ষদর্শী দু’জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। সোমবার রাতে এই দুজনকে থানায় রেখে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় বলে জানিয়েছেন জালালবাদ থানার ওসি আক্তার হোসেন। জিজ্ঞাসাবাদে প্রত্যক্ষদর্শীদের একজন জানিয়েছেন, রাজনকে বলাৎকার করতে না পেরে নৈশপ্রহরী ময়না মিয়া চোর সাজিয়ে কামরুল ও মুহিদকে দিয়ে পিটিয়ে খুন করিয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা হলেন- ঘাতক কামরুলের ওয়ার্কশপের পাশের ভবনের পাহারাদার ফিরোজ আলী (৬০) ও ঘটনাস্থলের পার্শ্ববর্তী কুমারগাঁওয়ের বাসিন্দা আজমত উল্লাহ (৫৫)। ফিরোজের গ্রামের বাড়ি সুনামগঞ্জের ছাতকে।
ওসি আখতার জানান, জিজ্ঞাসাবাদে পাহারাদার ফিরোজ বলেছে, গত বুধবার ভোরে ঠেলা গাড়ি চুরির অপবাদ দিয়ে নৈশপ্রহরী ময়না মিয়া শিশু রাজনকে আটক করে। এরপর চোর আটক করা হয়েছে বলে ফোন দিয়ে ঘটনাস্থলে আনে কামরুল ও মুহিদকে। তারা দুইজন এসে তাকে বেঁধে মারধর শুরু করে। একপর্যায়ে তাকে উদ্ধারে এগিয়ে যান পাহারাদার ফিরোজ। তখন তাকে কামরুল ও মুহিদ ধমক দিয়ে তাড়িয়ে দেয়।
ফিরোজের বরাত দিয়ে ওসি জানান, কামরুলদের ওয়ার্কশপের নৈশপ্রহরী ময়না মিয়া শিশুদের ডেকে নিয়ে বলাৎকার করে। এর আগে সে এরকম অনেক ঘটনা ঘটিয়েছে। সে রাজনকেও বলাৎকারের চেষ্টা করেছিল। তাতে ব্যর্থ হয়ে তাকে চোর অপবাদ দিয়ে কামরুল ও মুহিদকে দিয়ে পিটিয়ে খুন করিয়েছে।
জিজ্ঞাসাবাদে আজমত উল্লাহ জানান, শিশু রাজনের চিৎকার শুনে তার স্ত্রী তাকে ঘটনাস্থলে পাঠান। তিনি এসে এভাবে নির্মমভাবে না পেটানোর অনুরোধ করেন। কিন্তু কামরুল ও মুহিদ তার কথা না শোনায় তিনি ফিরে আসেন।