
আওয়ামী লীগ ও বিএনপিসহ ৪০টি রাজনৈতিক দলের বার্ষিক আয়-ব্যয়ের হিসাব প্রকাশ করতে আর কোনো আইনগত বাধা থাকল না। যেকোনো নাগরিক এই বিষয়ে তথ্য চাইলে তা নির্বাচন কমিশনকে প্রদান করতে হবে।
বৃহস্পতিবার রিট আবেদনের চূড়ান্ত শুনানি নিয়ে বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি কাজী ইজহারুল আকন্দের ডিভিশন বেঞ্চ এই রায় দেন। এই রায়ের ফলে নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর আয়-ব্যয়ের হিসাব প্রকাশ করতে তাদের অনুমতির প্রয়োজন হবে না।
এর আগে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) রাজনৈতিক দলগুলোর আয়-ব্যয়ের হিসাব চেয়ে নির্বাচন কমিশনে আবেদন দাখিল করে। নির্বাচন কমিশন ঐ আবেদন নাকোচ করে দিয়ে বলেছিল, রাজনৈতিক দলগুলোর সম্মতি থাকলেই শুধু এই আয়-ব্যয়ের হিসাব নির্বাচন কমিশন প্রকাশ করতে পারবে। নির্বাচনের কমিশনের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সুজন তথ্য কমিশনে আবেদন দাখিল করে। তথ্য কমিশনও একই যুক্তি দেখিয়ে সুজনের আবেদন নাকোচ করে দেয়।
নির্বাচন কমিশন ও তথ্য কমিশনের এই সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্ট রিট দায়ের করেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা এম হাফিজউদ্দিন খান, এ এস এম শাহজাহান, সুজন সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার, কলামমিস্ট সৈয়দ আবুল মকসুদ, অধ্যাপক তোফায়েল আহমেদ ও সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদার।
আবেদনকারীর পক্ষে ডক্টর শহীদ ভূঁইয়া, ব্যারিস্টার তামিম হোসেন শাওন ও রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আমাতুল করিম এবং নির্বাচন কশিনের পক্ষে অ্যাডভোকেট তৌহিদুল ইসলাম শুনানি করেন। শুনানি নিয়ে রাজনৈতিক দলের অনুমতি ছাড়াই তাদের আয়-ব্যয়ের হিসাব নির্বাচন কমিশন প্রকাশ করতে পারবে বলে রায় দেয় হাইকোর্ট।
শুনানিকালে আদালত বলেছে, দলগুলোর সম্মতি নেয়ার ক্ষেত্রে যে যুক্তি দেখানো হয়েছে তার কোনো আইনগত ভিত্তি নেই।