মিয়ানমারের রাখাইনে চলমান সহিংসতা বন্ধে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নকে (ইইউ) ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। সোমবার ইইউ ফরেন অ্যাফেয়ার্স কাউন্সিলের বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। ওই বৈঠককে সামনে রেখে এই আহ্বান জানান অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ইউরোপ অঞ্চলীয় পরিচালক ইরিনা ম্যাকগোয়ান। মানবাধিকার ও মিয়ানমারের সহিংসতা এই বৈঠকের মূল আলোচ্য বিষয়। এক বিবৃতিতে ইরিনা বলেন, মিয়ানমারে চলমান মানবতাবিরোধী অপরাধ, জাতি নিধন ও অন্যান্য গুরুতর বিষয়ের প্রতিক্রিয়া জানানোর ক্ষেত্রে ইইউ’র সদস্য দেশগুলোর মধ্যে দ্বিমত থাকা ঠিক না। তিনি বলেন, এই অপরাধ ও সহিংসতা বন্ধ করতে তাদেরকে অবশ্যই ঐক্যবদ্ধ পদক্ষেপ নিতে হবে। মানবিক সংকটের অবনতি রোধ ও নির্যাতিতদের প্রতি ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার জন্য ইউরোপকে কাজ করতে হবে। এটা হতে পারে দেশটির ওপর আরোপিত অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা বৃদ্ধি করে। পাশাপাশি সহিংসতা ও অপরাধের দায়ে দেশটির জ্যেষ্ঠ সেনা কর্মকর্তাদের ওপর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার মাধ্যমে। ইরিনা বলেন, এর আগে মিয়ানমারের মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানানোর ক্ষেত্রে ইউরোপ অগ্রগামী ছিল। ৬ই অক্টোবরের তথ্য অনুযায়ী, রাখাইনে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর অভিযানের কারণে প্রাণ বাঁচাতে ৫ লাখ ৩০ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। এই সহিংসতা বন্ধে মিয়ানমারের ওপর চাপ প্রয়োগ করার জন্য ইউরোপের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। এছাড়া সহিংসতার দায়ে দেশটির ওপর যেন জাতিসংঘ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে সে ব্যাপারে ইউরোপকে কার্যকর ভূমিকা রাখার আহবান জানায় সংস্থাটি। উল্লেখ্য, এই বিবৃতি প্রকাশ পাওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর বার্তা সংস্থা আনাদোলুতে প্রকাশিত এক খবর অনুসারে, রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতনের দায়ে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর সঙ্গে সকল প্রকার যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছে ইইউ। এমনকি পরিস্থিতির উন্নতি না ঘটলে, আরও কড়া পদক্ষেপ নেয়া হতে পারে বলেও সতর্ক করা হয়েছে।
