ব্যাটসম্যানদের বিপদে ফেলতে কত আজব কিসিমের বল করে থাকেন স্পিনাররা। কিন্তু এ এক নতুন ডেলিভারি। যার সম্পর্কে মুখে কুলুপ এঁটেছেন সবাই। এই ডেলিভারি দিয়েই নাকি অজিদের ব্যাটিং লাইনআপ ধসিয়ে দিয়েছেন সাকিব-মিরাজ-তাইজুলরা। এসেছে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রথম টেস্ট জয়। কিন্তু কী এই ডেলিভারি? কোত্থেকে এই অস্ত্রের খোঁজ পেল টিম টাইগার?
এই ‘রহস্যময়’ ডেলিভারির পেছনে যার অবদান, তিনি সুনীল যোশি। বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের স্পিন কোচ। অস্ট্রেলিয়া সিরিজ শুরু হওয়ার মাত্র ৫ দিন আগে তিনি চাকরিতে যোগ দিয়েছিলেন। প্রাথমিকভাবে মাত্র ২ মাসের জন্য বিসিবির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ সাবেক এই ভারতীয় স্পিনার শুরুতেই দেখিয়ে দিলেন নিজের কারিশমা। সাকিব-মিরাজদের তিনিই এই ডেলিভারি শিখিয়েছেন।
ভারতের শীর্ষস্থানীয় একটি গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাতকারে সুনীল যোশি বলেছেন, ‘একটা ডেলিভারি আছে, ভারত সিরিজ থেকে যেটা বুঝে উঠতে কষ্ট হচ্ছে অস্ট্রেলিয়ার।এ সিরিজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত আমি সেটা বলতে চাই না। কারণ আমি চাই না, সেটা জেনে অস্ট্রেলিয়া কোনও পাল্টা পরিকল্পনা নিয়ে হাজির হোক।সুতরাং ডেলিভারি নিয়ে অন্ধকারেই থাকতে হচ্ছে অজিদের, এমনকী ক্রিকেটপ্রেমীদের। কিন্তু কাজের কাজ তো ঠিকই হচ্ছে। ঢাকা টেস্টে ২০ রানের জয়ে ২০ উইকেটের ১৯টি নিয়েছে স্বাগতিক স্পিনাররাই। এবার চট্টগ্রামে সিরিজ জয়ের মিশনে নামা বাংলাদেশ দল যে স্পিনের ওপরেই ভরসা রাখবে সেটা আর বলে দিতে হয়না। দায়িত্বের শুরুতেই এমন অবদান রাখতে পেরে নিজের উচ্ছাস ব্যক্ত করেছেন সুনীল যোশি। স্পিনারদের ধাঁরালো করে তোলা কেবল বাংলাদেশ দলের জন্যই নয়; এর ওপর তার চাকরি পাকা হওয়াটাও নির্ভর করছে।
বাংলাদেশের ক্রিকেটের একটি ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী সুনীল যোশি। ২০০০ সালে ভারতের বিপক্ষে প্রথম টেস্ট খেলেছিল বাংলাদেশ। ওই ম্যাচে ৮ উইকেট নিয়ে স্বাগতিকদের হৃদয় ভেঙেছিলেন যোশি। ৯২ রানের একটি গুরুত্বপূর্ণ ইনিংসও ছিল তার। ১৭ বছর পর সেই ম্যাচটি সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে হাসতে হাসতে যোশি বললেন, ‘ওটা ছিল ঐতিহাসিক একটা মুহূর্ত। আর এখন কোচের দায়িত্ব। এই দায়িত্ব গ্রহণের পর ইতিবাচক অবদান রাখতে পেরে আমি খুশি। ‘
