রফিকুল ইসলাম (লামা প্রতিনিধি),
আর্থনিউজ২৪: বান্দরবানে লামায় রুপসীপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা মাইক্যচিং মার্মাকে ১২ লক্ষ টাকা যৌতুকের জন্য পারিবারিক কলহের জের ধরে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করেছে নিহতের পরিবার। শনিবার বিকেলে ময়নাতদন্ত শেষে মাইক্যচিং মার্মার লাশ লামা কেন্দ্রীয় শশ্মানে দাহ করা হয়েছে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক অভিজিৎ দাস আর্থনিউজ২৪কে জানিয়েছেন আদালতের অনুমতি নিয়ে শীঘ্রই ঘাতক থোয়াইশৈমং মার্মাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
নিহতের ভাই সুইনুমং মার্মা জানিয়েছেন যৌতুকের জন্য প্রায় সময় মাইক্যচিং মার্মাকে ফরেষ্ট্রিতে ডিপ্লোমা স্বামী থোয়াইশৈমং মার্মা নির্যাতন করত। কারিতাস সিঁড়ি প্রকল্পে কর্মরত থোয়াইশৈচিং মার্মা সরকারী চাকুরীর জন্য ১২লক্ষ টাকা যৌতুক হিসেবে স্ত্রীর কাছে দাবী করে আসছিল। এনিয়ে
গত ২০দিন ধরে পারিবারিক কলহ প্রচন্ড রুপ নেয়। মাইক্যচিং মার্মা গত ১৯ সেপ্টেম্বর কাল্ব থেকে ১লক্ষ ১০হাজার টাকা ঋণ নিয়ে তার স্বামীকে দিয়েছেন। ঘটনার দিন গত শুক্রবার স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রচন্ড ঝগড়া হয়। একই ফ্লাটের পাশের ভাড়াটিয়া স্কুল শিক্ষিকার ভাইকে মোবাইল ফোনে ঝগড়ার বিষয়টি জানালে তারা তড়িৎ ফ্লাটে উপস্থিত হয়ে দেখেন দরজা বন্ধ কক্ষে ঘাতক স্বামী মোবাইল ফোনে অজ্ঞাত কারো সাথে কথা বলছে। উপস্থিত আত্মীয় স্বজন দরজা খোলার জন্য অনেক অনুনয় বিনয় করলেও সে দরজা খোলেনি। পরে পুলিশের উপস্থিতিতে দরজা খুললে ঘাতক থোয়াইশৈমং মার্মা উপস্থিত শশুর বাড়ির লোকজনকে জানান “তোদের মেয়ে শেষ স্বর্ণ কোথায় আছে আমি জানিনা”। জানা গেছে বিয়ের সময়কার সহ তার ঘরে মোট ১০ভরি স্বর্ণ ছিল। নিহতের চাচাত ভাই মংছিংপ্রু মার্মার জানিয়েছেন সুরতাল রির্পোটের বর্ণনা অনুযায়ী মাইক্যচিং মার্মাকে হত্যার আগে বা পরে বৈদ্যুতিক সট দিয়ে জ্বালিয়ে দেয়ার চেষ্টা করা হয়। ঘাতক ঠান্ডা মাথায় তাকে খুন করে মোবাইল ফোনে অজ্ঞাত ব্যাক্তির সাথে দীর্ঘক্ষণ কথা বলেছেন। এদিকে লামা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষিকা গণ হত্যাকারীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে শনিবার সকালে
লামা উপজেলা পরিষদ চত্বরে মানববন্ধন করেছে। উল্লেখ্য যে, গত শুক্রবার সন্ধ্যায় রুপসীপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা মাইক্যচিং মার্মাকে জবাই ও বৈদ্যুতিক সট দিয়ে হত্যা করেছে। নিহতের ভাই সুইনুমং মার্মা লামা থানায় বাদী হয়ে ঘাতক স্বামী থোয়াইশৈমং মার্মাকে আসামী করে হত্যা মামলা দায়ের করেছে। ঘাতক থোয়াইশৈমং মার্মা বর্তমানে পুলিশের হেফাজতে চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে।