
যশোরে শহীদ বেদির পাশে গুলি ও বোমা বিস্ফোর। আজ শোরের সরকারি মাইকেল মধুসূদন মহাবিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পরপরই শহীদ বেদির পাশে গুলি ও বোমার পরপর কয়েকটি বিস্ফোরণ ঘটে।
রাত ১২টা ১ মিনিটে যশোরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মহান ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে যান সদর আসনের এমপি কাজী নাবিল আহমেদ, সরকারি মাইকেল মধুসূদন মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান, জেলা প্রশাসক ড. হুমায়ুন কবির এবং পুলিশ সুপার আনিসুর রহমান।
তারা শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে নেমে যাওয়ার পরপরই এই বিস্ফোরণ ঘটে। এ সময় শহীদে মিনারে ফুল দিতে যাওয়া মানুষেরা আতংকিত হয়ে পড়ে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ তিন রাউন্ড টিয়ার শেল, শটগানের ১৮ রাউন্ড এবং পিস্তলের ৪ রাউন্ড গুলি ছোড়ে। তবে গোলাগুলিতে হতাহতের কোন খবর পাওয়া যায়নি।
যশোর জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন বিপুল জানান, ডিসি এবং এসপি ফুল দেওয়ার পর আমরা ফুল দেয়ার জন্য কলেজের দক্ষিণ গেটে অবস্থান করছিলাম। আমাদের দেখার সঙ্গে সঙ্গে এমপি কাজী নাবিল আহমেদ ও জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি শহীদুল ইসলাম মিলন “শুরু করা”র নির্দেশ দেন। সঙ্গে সঙ্গে ছাত্রলীগের নামধারী সন্ত্রাসী ম্যানসেলের নেতৃত্বে গুলি ও বোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। বিপুল দাবি করেন, গুলি করা অবস্থায় কাজী নাবিল আহমেদের গাড়ির চালককে পুলিশ আটক করেছে।
পুলিশের তড়িৎ হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলে শহীদ মিনারে ফুল দেয়ার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসে কিছুক্ষণের মধ্যে।