৮ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

“যতই ষড়যন্ত্র হউক গাছতলা, বটতলা—যেখানেই হোক সম্মেলন আমরা করবই”

১৯ মার্চ সম্মেলন হচ্ছে না? এই বিষয়ে বিএনপির নেতারা বলেছেন, তাঁরা জায়গা খুঁজছেন। বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির প্রকাশনাবিষয়ক উপকমিটির আহ্বায়ক আবদুল্লাহ আল নোমান বলেন, ‘সরকার চাচ্ছে আমাদের যত অসুবিধা করা যায়, যত দেরি করা যায়। না হলে একটি দলের সম্মেলনের জন্য একটি সুনির্দিষ্ট জায়গা পেতে এত অসুবিধা হবে কেন? আমরা জায়গা খুঁজছি।“যতই ষড়যন্ত্র হউক গাছতলা, বটতলা—যেখানেই হোক সম্মেলন আমরা করবই।

পছন্দসই জায়গা নিশ্চিত করতে না পারায় জাতীয় সম্মেলন নিয়ে কিছুটা অনিশ্চয়তায় পড়েছে বিএনপি। এর মধ্যে সম্মেলনের মূল আকর্ষণ মহাসচিব পদ ঘিরে দলের প্রভাবশালী নেতাদের মধ্যে নানামুখী তৎপরতা চলছে।

বিএনপির দায়িত্বশীল একাধিক সূত্র জানিয়েছে, আগামী ১৯ মার্চ দলের কেন্দ্রীয় সম্মেলনের সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা করা হলেও গতকাল সোমবার পর্যন্ত জায়গা ঠিক করতে পারেনি দলটি। সম্মেলন প্রস্তুতির জন্য গঠিত কমিটির বৈঠকগুলোও হচ্ছে না। এ পরিস্থিতির জন্য সরকারকে দায়ী করছেন বিএনপির নেতারা।

বিএনপির পক্ষ থেকে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র ও ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন—তিন জায়গার যেকোনো একটিতে সম্মেলন করতে অনুমতি চেয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করা হয়েছিল। এর মধ্যে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের জন্য গণপূর্ত বিভাগের অনুমোদন পাওয়া গেছে। কিন্তু পুলিশের অনুমতি এখনো মেলেনি। আবার নিরাপত্তা ও পারিপার্শ্বিক সমস্যার কথা বিবেচনা করে বিএনপিরও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সম্মেলন আয়োজন নিয়ে অনাগ্রহ আছে।

এ অবস্থায় ১১ ফেব্রুয়ারি রাতে দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকে রাজধানীর বসুন্ধরা কনভেনশন সেন্টারে সম্মেলন করার নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়। পরদিন এ খবর গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে বসুন্ধরা কর্তৃপক্ষ জানায়, তারা কোনো রাজনৈতিক দলের সম্মেলনের জন্য মিলনায়তন ভাড়া দেয় না। এতে বিএনপির নীতিনির্ধারকেরা বিব্রত হন।

জানতে চাইলে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির দপ্তর ও যোগাযোগ-বিষয়ক উপকমিটির আহ্বায়ক রুহুল কবির রিজভী গত রাতে বলেন, ‘ইচ্ছা করলে বসুন্ধরা কর্তৃপক্ষ ভাড়া দিতে পারত। কিন্তু সরকারের চাপে তারা এ কাজটি করল।’

Share on facebook
Share on twitter
Share on whatsapp
Share on print

মন্তব্য করুন

সর্বশেষ সংবাদ