১৪ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

মোখার প্রভাবে চাঁদপুরে উত্তাল হচ্ছে পদ্মা-মেঘনা

ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাব পড়তে শুরু করেছে চাঁদপুর মেঘনা উপকূলীয় এলাকায়। একই সঙ্গে উত্তাল হয়ে উঠেছে পদ্মা ও মেঘনা নদী। বাতাসের গতিও সামান্য বেড়েছে।

 

রোববার (১৪ মে) ভোর থেকে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত আকাশ মেঘাচ্ছন্ন অবস্থায় রয়েছে। পদ্মা ও মেঘনা নদীর পানি স্বাভাবিক জোয়ারের চাইতে কিছুটা বেড়েছে। গতিবেগ পরিবর্তন করে বাতাসও বেড়েছে। মেঘনা নদীর মোহনা এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে নদী উত্তাল হওয়ার কারণে নৌযানের সংখ্যা খুবই কম।

সদর উপজেলার হানারচর ইউনিয়নের নদী পাড়ের প্রায় পাঁচ শতাধিক মানুষ সাইক্লোন সেন্টারে আশ্রয় নিয়েছে। চরাঞ্চলের লোকদেরকে সর্তক করে যাচ্ছেন রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির সদস্যরা।

 

সদর উপজেলার রাজরাজেশ্বর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হজরত আলী বেপারী বলেন, সদরে সবচাইতে ঝুঁকিপূর্ণ চরাঞ্চল হচ্ছে রাজরাজেশ্বর। সকাল থেকেই তিনি রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির সদস্যদের নিয়ে চরাঞ্চলের লোকদেরকে সতর্ক করে দিয়েছেন এবং মাইকিং করেছেন। জেলে ও চরাঞ্চলের লোকদেরকে নিরাপদ আশ্রয় থাকার জন্য অনুরোধ করা হয়।

চাঁদপুর শহর রক্ষাবাঁধ থেকে শুরু করে হাইমচর উপজেলার চরভৈরবী পর্যন্ত সবচেয়ে নিচু এলাকা হচ্ছে সদর উপজেলার হানাচর ইউনিয়ন। সেখানে সকাল থেকেই পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশলীরা নদী তীর পর্যবেক্ষণে রেখেছেন।

হানারচর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ছাত্তার রাড়ী বলেন, রোববার বিকেলে নদীর পাড় ও বেড়িবাঁধ সংলগ্ন প্রায় ৫শতাধিক লোক হরিনা চালতাতলী অ্যাডওয়ার্ড স্কুল সংলগ্ন সাইক্লোন সেন্টারে আশ্রয় নিয়েছে। তাদেরকে খাদ্য সহায়তা দেওয়া হয়েছে। তারা নিরাপদে আছে।

চেয়ারম্যান বলেন, শনিবার বিকেলে ও রোববার সকালে জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান, নৌ পুলিশের এসপি মো. কামরুজ্জামান একাধিকবার আশ্রয় কেন্দ্রের লোকদের সঙ্গে কথা বলেছেন। তাদের খোঁজ খবর নিচ্ছেন।

চাঁদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপসহকারী প্রকৌশলী মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ঘুর্ণিঝড়ের প্রভাব কিছুটা পড়েছে, কিন্তু মারাত্মক না। তবে পানি স্বাভাবিক জোয়ারের চাইতে চার ইঞ্চি বেড়েছে। আমাদের লোকজন উপকূলের বাঁধ এলাকা পর্যবেক্ষণে আছেন।

Share on facebook
Share on twitter
Share on whatsapp
Share on print

মন্তব্য করুন

সর্বশেষ সংবাদ