বিভিন্ন পণ্য মোড়কজাতকরণে কোন ধরনের ব্যাগ ব্যবহার হবে সেটি নির্দিষ্ট করতে সরকারের কাছে প্যাকেজিং আইন করার দাবি জানিয়েছেন দেশের প্লাস্টিক শিল্পের ব্যবসায়ীরা।
বাংলাদেশ প্লাস্টিক পণ্য প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিপিজিএমইএ) গতকাল রোববার সমিতির ঢাকার পুরানা পল্টনের কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানিয়েছে। সভাপতি জসিম উদ্দিনসহ সমিতির নেতারা এতে উপস্থিত ছিলেন।
জসিম উদ্দিন বলেন, এক কেজির বেশি যেকোনো পণ্য মোড়কজাত করতে পাটের ব্যাগ ব্যবহারের যে নির্দেশনা সরকার দিয়েছে, এটা কীভাবে সম্ভব? আমরা পাটের ব্যাগ ব্যবহারের বিরুদ্ধে না, কিন্তু বাস্তবতা বিবেচনায় প্যাকেজিংয়ে এখন প্লাস্টিকের কোনো বিকল্প নেই। কোন ধরনের পণ্যে কী ধরনের প্যাকেজিং করা হবে সেটি নির্ধারণে আইন করার কোনো বিকল্প নেই।
আগামী বছরের ২০ থেকে ২৩ জানুয়ারি ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে আন্তর্জাতিক প্লাস্টিক সম্মেলন-২০১৬ ও ১১তম আন্তর্জাতিক প্লাস্টিক মেলা। এই সম্মেলন ও মেলার বিভিন্ন দিক সংবাদ সম্মেলনে তুলে ধরা হয়। এশিয়ার বিভিন্ন দেশ নিয়ে গঠিত এশিয়া প্লাস্টিকস ফোরামের (এপিএফ) ২৫তম কাউন্সিল সভা এবং আসিয়ান ফেডারেশন অব প্লাস্টিক ইন্ডাস্ট্রিজের (এএফপিআই) ১৬তম ককাস সভাও একই সময়ে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হবে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন। এএফপিআইয়ের চেয়ারম্যান হো ডুক লপম, এপিএফের মহাসচিব ক্যালাম চেনসহ এই অঞ্চলের ২২টি দেশের প্লাস্টিক ব্যবসায়ীরা সম্মেলন ও মেলায় অংশ নেবেন। এ সম্মেলনে প্লাস্টিক শিল্পের ওপর নয়টি গবেষণা প্রবন্ধও উপস্থাপন করা হবে।
প্লাস্টিক মেলা ও সম্মেলনের বিষয়ে বিপিজিএমইএর সভাপতি জসিম উদ্দিন বলেন, ২০০২ সাল থেকে প্লাস্টিক মেলা আয়োজন করা হচ্ছে। দেশের প্লাস্টিক খাতের অগ্রযাত্রায় এ মেলার বড় অবদান আছে। মেলার মাধ্যমে প্লাস্টিক পণ্যের পরিচিতি ও রপ্তানি দুটোই দিন দিন বাড়ছে। আর সম্মেলনে এ শিল্পের নতুন প্রযুক্তি ও পরিবেশবান্ধব উপায়ে প্লাস্টিকের উৎপাদন প্রক্রিয়ার বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা হবে।
দেশ থেকে ২০১৪-১৫ অর্থবছরে ১০ কোটি ডলারের প্লাস্টিক পণ্য রপ্তানি হলেও চলতি অর্থবছরে এ খাতে নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি হচ্ছে।























