আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদ আপিলের চূড়ান্ত রায় পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) জন্য আবেদন করেছেন। আজ সকাল ১০টায় আপিল বিভাগে তার পক্ষে এ আবেদন জমা দেযা হয়েছে। মুজাহিদের আইনজীবী অ্যাডভোকেট শিশির মনির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।এদিকে বেলা ১২টার দিকে সাকা চৌধুরীর চূড়ান্ত রায়ের বিরুদ্ধেও আপিল করেন তার আইনজীবী। সাকার আইনজীবী হুজ্জাতুল ইসলাম বুধবার সকালে সুপ্রিম কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ আবেদন করেন।
তিনি জানান, ১০৮ পৃষ্ঠার রিভিউ আবেদনে ১০টি যুক্তি তুলে ধরে মোট ৩৫৭টি নথিপত্র যুক্ত করা হয়েছে।
রিভিউ ফাইল গ্রহণের মধ্যদিয়ে আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ ও সাকা চৌধুরীর ফাঁসির রায় স্থগিত হয়ে যাবে।তবে কবে এই রিভিউর শুনানি হবে তা জানা যায়নি।বর্তমানে হাইকোর্টে ছুটি চলছে।তবে আদালত মনে করলে অবকাশের মধ্যেই শুনানি হতে পারে বলে জানিয়েছে অ্যাটর্নী জেনারেল মাহবুবে আলম। কোনো কোনো মামলার শুনানি চেম্বার জজের আদালতে এখনো হচ্ছে।
মুজাহিদের আইনজীবী শিশির মুনির জানান, মোট ৩৮ পৃষ্ঠার রিভিউ আবেদনে ৩২টি গ্রাউন্ড দেখিয়ে অভিযোগ থেকে মুজাহিদের অব্যাহতি ও মৃত্যুদণ্ড থেকে খালাস চাওয়া হয়েছে। রিভিউয়ের পেপারবুক দাখিল করা হয়েছে তিন শতাধিক পৃষ্ঠার।
মুজাহিদের প্রধান আইনজীবী হিসেবে সর্বোচ্চ আদালতে রিভিউ আবেদনের শুনানিতে আসামিপক্ষে নেতৃত্ব দেবেন খন্দকার মাহবুব হোসেন। তিনি সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীরও প্রধান আইনজীবী।
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার মুজাহিদের সঙ্গে কারাগারে সাক্ষাৎ করেন মুজাহিদের পাঁচ আইনজীবী। সাক্ষাৎ শেষে জেলগেটে সাংবাদিকদের অ্যাডভোকেট শিশির মনির জানান, রিভিউ আবেদন চূড়ান্ত করার জন্য সাক্ষাৎ করেছি। বুধবার আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিভিউ আবেদন দাখিল করা হবে।
দুটি মূল পয়েন্টে রিভিউ চাইবেন জানিয়ে শিশির মনির বলেন, প্রথমটি হচ্ছে, তদন্ত কর্মকর্তা বলেছেন, একাত্তরে আলবদর, আলশামস ও শান্তি কমিটির কোনো তালিকায় তার (মুজাহিদ) নাম খুঁজে পাওয়া যায়নি। তাহলে তিনি আলবদর কমান্ডার হলেন কী করে? দ্বিতীয়টি হচ্ছে, একাত্তরের ২৩ বছরের একজন ছাত্র ও বেসামরিক ব্যক্তি কিভাবে সামরিক ও আধা সামরিক বাহিনীর প্রধান হন?
এর আগে গত ৩ অক্টোবর সকালে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে মুজাহিদের সঙ্গে দেখা করে রিভিউ আবেদনের বিষয়ে দিক-নির্দেশনা নিয়ে আসেন তার আইনজীবীরা।
গত ৩০ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ মানবতাবিরোধী অপরাধ ট্রাইব্যুনালের ফাঁসির রায়ের বিরুদ্ধে করা আপিলের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করে। নিয়ম অনুযায়ী রায় প্রকাশের ১৫ দিনের মধ্যে আসামি পক্ষকে রিভিউ পিটিশন দায়ের করতে হবে।