বন্দরনগরী চট্টগ্রামে জলাবদ্ধতার কবল থেকে মুক্তি মিলছে না আগ্রাবাদ সিডিএ আবাসিক এলাকার কয়েক লাখ বাসিন্দার। প্রবল বর্ষণের পাশাপাশি জোয়ারের পানি প্রবেশ করায় পুরো এলাকায় সৃষ্টি হয়েছে স্থায়ী জলবদ্ধতার। এতে স্থানীয় বাসিন্দাদের চরম ভোগান্তির পাশাপাশি মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রমে।
আগ্রাবাদ সিডিএ আবাসিক এলাকা জলাবদ্ধতার জন্য বর্ষা মৌসুমের প্রয়োজন হয় না। শীত কিংবা গ্রীষ্ম, সাগরে জোয়ার হলেই হাঁটু পানিতে তলিয়ে যায়। দিনের অধিকাংশ সময় পুরো এলাকা জোয়ারের পানিতে ডুবে থাকে। দু’দশক আগে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ অনেকটা অপরিকল্পিতভাবে গড়ে তোলে বিশাল এ আবাসিক এলাকা। পার্শ্ববর্তী বঙ্গোপসাগরের জোয়ারের পানি ঢুকতে পারে সে চিন্তাই ছিল না কারো। আর বর্ষা মৌসুমে জোয়ারের পানির সাথে বৃষ্টির পানি যুক্ত হওয়ায় বাসিন্দাদের দুর্ভোগ চরম ঠেকে।
ঘন বসতি হওয়ায় এখানে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যাও কম নয়। কিন্তু জোয়ার-ভাটার ওপর নির্ভর করে এখানকার শিক্ষা ব্যবস্থা। ভরা জোয়ার কিংবা প্রবল বর্ষণ হলেই বন্ধ হয়ে যায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও জলাবদ্ধতা সমস্যার সমাধান না হওয়ায় ক্ষুব্ধ স্থানীয় বাসিন্দারা। তবে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কাজী মোহাম্মদ শফিউল আলম বললেন, আগ্রাবাদ সিডিএ আবাসিক এলাকার জলাবদ্ধতা নিরসনে একটি স্লুইসগেট তৈরি করবে বন্দর কর্তৃপক্ষ।
প্রায় ৫ বর্গকিলোমিটার এলাকা জুড়ে গড়ে ওঠা আগ্রাবাদ সিডিএ আবাসিক এলাকায় কাস্টমস, ভ্যাট ও আয়কর বিভাগের ৫টি অফিস রয়েছে। আর এখানকার ১ হাজার বহুতল ভবনে প্রায় দেড় লাখ মানুষ বসবাস করেন।