বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা রাজনীতিক আলহাজ্ব এস.এম. জহিরুল হক ৮ জানুয়ারি (২০২০) বুধবার রাতে চট্টগ্রামের কদমলতলীস্থ বাসায় ইন্তেকাল (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন) করেন। মৃত্যুকালে তিনি ২ ছেলে, ৩ মেয়ে স্ত্রী সহ বহুগুণগ্রাহী ও আত্মীয় স্বজন রেখে যান।
মরহুম জহিরুল হকের প্রথম জানাযা ৯ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় কদমতলী পোড়া মসজিদ প্রাঙ্গণে এবং বাদ আছর চৌদ্দগ্রামস্থ নিজ এলাকায় মুন্সীরহাটে ২য় জানাযা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
মরহুম জহিরুল হক তদানিন্তন পাকিস্তান আমলে ১৯৬৪ সাল থেকে কাজী জাফরের নেতৃত্বে বিপ্লবী ছাত্র ইউনিয়নে সম্পৃক্ত হওয়ার মাধ্যমে রাজনীতি শুরু করেন। স্বাধীনতার পর তিনি ভাসানী ন্যাপ এবং পরবর্তীতে জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির সাথে সম্পৃক্ত হয়ে রাজনীতি করেন। তিনি ১৯৯৭ সালে সংবিধান ও রাষ্ট্রীয় অখন্ডতা বিরোধী পার্বত্য শান্তি চুক্তি বিরোধী আন্দোলনে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখেন এবং ৭ দলীয় জোটের চট্টগ্রামের অন্যতম নেতা ছিলেন।
তিনি গণতান্ত্রিক মুক্তিযোদ্ধা ফোরাম কেন্দ্রীয় কমিটির মহাসচিব, চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক সমিতির আজীবন সদস্য, চট্টগ্রাম বন্দর পরিবহন সমিতির সহ-সভাপতি সহ বিভিন্ন সংগঠনের সাথে জড়িত ছিলেন। যে সকল মুক্তিযোদ্ধা রাষ্ট্রীয় ভাতা প্রত্যাখান করে বলেছিলেন “আমরা টাকার জন্য মুক্তিযুদ্ধ করিনি, দেশের স্বাধীনতার জন্য করেছি” তাঁদের মধ্যে তিনি ছিলেন অন্যতম।
রাজনীতিক ও মুক্তিযোদ্ধা এস.এম. জহিরুল হকের ইন্তেকালে শোক প্রকাশ করে প্রবীণ সাংবাদিক নেতা, মুক্তিযোদ্ধা, ওয়ার্ল্ড এসোসিয়েশন প্রেস কাউন্সিলস্ নির্বাহী পরিষদ ও বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের সাবেক সদস্য মইনুদ্দীন কাদেরী শওকত এক বিবৃতি প্রদান করেন।
বিবৃতিতে বলা হয়, জহিরুল হক ছিলেন আপাদমস্তক দেশপ্রেমিক রাজনীতিবিদ, মজলুম জনগণের সাথী। যে কোন অন্যায়ের প্রতিবাদে তিনি সবসময় সোচ্চার ছিলেন ও সাহসী ভূমিকা পালন করেছিলেন। বিবৃতিতে মরহুমের রুহের মাগফিরাত কামনা করা হয় এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করা হয়।
সংবাদদাতা : আরএন