মুক্তিযোদ্ধাদের বিচার চেয়ে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন- ‘অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল’ এর- দেয়া বিবৃতির প্রতিবাদলিপি পাঠিয়েছে সেক্টর কমাণ্ডারস ফোরাম। সংগঠনটি মনে করে, মানবতার নাম করে, মানবতাবিরোধী অপরাধীদের পক্ষ নিচ্ছে অ্যামনেষ্টি ইন্টারন্যাশনাল।
শুক্রবার সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানায় সেক্টর কমাণ্ডারস ফোরাম।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের (আইসিটি) প্রসিকিউটর ব্যরিস্টার তুরিন আফরোজ বলেছেন, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল (আইএ) ধৃষ্টতা ছাড়িয়ে গেছে। কেননা, তারা মুক্তিযোদ্ধাদের বিচার চেয়েছে।
তুরিন আফরোজ বলেন, আইএ যখন মানবাধিকারের কথা বলে, তখন তারা কেবল যুদ্ধাপরাধীদের মানুষ মনে করে। ৩০ লাখ শহীদ আর ধর্ষণের শিকার ৫ লাখ নারী, তাদের তারা মানুষ বলে মনে করে না। যদি মনে করতো তবে কেন সেসব বিষয়ে কোনো বিবৃতি নেই। তাদের জন্য তো কোনো জোরালো বক্তব্যও দেখতে পাইনা।
তুরিন আফরোজ বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের বিচারের কথা যারা বলছেন, তারা রাজাকার হানাদার বাহিনীর ভাষায় কথা বলছেন। ভুলে যাবেন না, মুক্তিযোদ্ধারা বয়সের ভারে ন্যুজ কিন্তু নতুন প্রজন্ম এদের রুখে দিতে আরেকটি মক্তিযুদ্ধ ডেকে আনবে।
গণমাধ্যমে ওই চিঠিটি তুলে ধরে হারুণ বলেন, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল স্বাধীন সার্বভৌম দেশের বিচার ব্যবস্থার উপর হস্তক্ষেপ করেছে। কেননা, তারা মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারাধীন বিষয়ের উপর বিবৃতি দিয়েছে।
আইএ’র-এ সেক্রেটারি জেনারেল সলীল শেঠীর কাছে লেখা ওই চিঠিতে বলা হয়েছে-অ্যামনেস্টি বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাসের প্রতি শ্রদ্ধাশীল নয়। যেখানে ৩০ লাখ মানুষ প্রাণ দিয়েছেন এবং ৫ লাখ নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। পশ্চিমা বিশ্বের দেখানো পথেই মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার করেছে। কেননা, তারাও নুরেমবার্গ ট্রায়াল ও টোকিও ট্রায়াল করেছে।
তাই আইএ’র বিবৃতি প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়েছে চিঠিতে।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আয়োজক সংগঠনের ভাইস চেয়ারম্যান লে. কর্নেল আবু ওসমান চৌধুরী, লে.জে. এম হারুণ-অর রশীদ, আনোয়ার উল আলম শহীদ, সদস্য ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ ও জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি মুহাম্মদ শফিকুর রহমান।