আকাশ ইকবাল, চট্টগ্রাম-মীরসরাই প্রতিনিধিঃ
মীরসরাই উপজেলার বারইয়ারহাট পৌর বাজারে অবস্থিত শামীম জুয়েলার্সের স্বর্ণ ডাকাতির ঘটনায় সম্পৃক্ত এক ডাকাতকে গ্রেপ্তার করেছে জোরাগঞ্জ থানা পুলিশ। গতকাল সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জোরারগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাহেদুল কবির। তবে কৌশলগত কারণে গ্রেপ্তারকৃত ডাকাতের নাম প্রকাশ করতে অপারগতা প্রকাশ করেছেন তিনি।
ঘটনার রাতে এই বিষয়ে ভুক্তভোগী স্বর্ণ ব্যবসায়ী বাদী হয়ে জোরারগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পুলিশ শামীম জুয়েলার্স এর সিসি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজ ও পৌর বাজারের বিভিন্ন পয়েন্টে বসানো সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করে এবং সেগুলো যাচাই বাচাই করে সংশ্লিষ্ট ডাকাতদের সনাক্ত করতে সক্ষম হয়েছেন। এরপর ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহেদুল কবিরের নেতৃত্বে ডাকাত দল ও ডাকাতির মালামাল উদ্ধারের জন্য দেশের ফেনী, চট্টগ্রাম, লক্ষীপুর, ঢাকা ও বারইয়ারহাট সহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় একাধিক অভিযান পরিচালনা করেন জোরারগঞ্জ থানা পুলিশ।
সব শেষে গতকাল রাতে নওগাঁর একটি ডেরায় অভিযান চালিয়ে ঘটনায় সম্পৃক্ত ডাকাত দলের এক সদস্যকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। এই সময় ডাকাতি হওয়া মালামালের কিছু অংশ উদ্ধার হয়। গ্রেপ্তারকৃত ওই ডাকাত বর্তমানে জোরারগঞ্জ থানায় হেফাজতে রয়েছেন।
ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আরো জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃত ডাকাত ঘটনায় সম্পৃক্ততায় দায় স্বীকারপূর্বক ঘটনার বিবরণ ও এ সম্পর্কে বিস্তারিত আরো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত ডাকাত দলের এই সদস্যের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায়- স্বর্ণ দোকান ডাকাতি, বাড়ি ডাকাতি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ডাকাতি সহ আরো অনেকগুলো ডাকাতির ঘটনার কমপক্ষে ৩০টি মামলা রয়েছে। সংঘবদ্ধ এই ডাকাত দলের দেশের আলাদা আলাদা জেলায় ১৩ থেকে ১৪ সদস্য কাজ করে। সে জানায় শামীম জুয়েলার্সে ডাকাতি করার সময় তাদের মোট ৮ সদস্য অংশ নেয়। ঘটনার ২/৩ তিন আগে থেকে সুযোগের অপেক্ষায় ছিল এই ডাকাত দল। পরে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি সন্ধায় মাগরিবের নামাজ চলাকালীন সময়কে গুরুত্ব দিয়ে কাজ সম্পন্ন করেন ডাকাত দল।
জোরারগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আরো জানান, এতদিনে আমরা ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত অন্য সব সদস্যকে গ্রেপ্তার করতে পারতাম যদি দোকানের ভিডিও ফুটেজ ইন্টারনেটে না ছড়িয়ে দিতো।
উল্লেখ্য, গত ২৬ ফেব্রুয়ারী মীরসরাই উপজেলার বারইয়ারহাট পৌর বাজারে অবস্থিত শামীম জুয়েলার্সে ডাকাতি করে প্রায় ৩০০ ভরি স্বর্ণ লুট করে নিয়ে যায় ডাকাত দল।